ওয়েবডেস্ক- বিহার ভোটের (Bihar Assemble Election) আবহে দীর্ঘ ৬ বছর পর ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স প্যানেল (Economic Intelligence Panel) চালু করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটের সময় টাকা, মদ, মাদক দ্রব্য দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত (Influence voters) একটি ইস্যু এই সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই ধরনের কাণ্ড বন্ধ করতে কাজ করবে এই প্যানেল।
অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করার এই প্যানেলের সঙ্গে কাজ করবে বহু বিভিন্ন সরকার বিভাগ। নিবার্চন কমিশনের লক্ষ্য অবাধ ভোট সুনিশ্চিত করা, সেই স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এই পদ্ধতি কাজ করবে। শুক্রবার একাধিক নির্বাচনমুখী বিহারে ভোটারদের প্রতারণার জন্য অর্থের শক্তি প্রয়োগ সহ একাধিক দুর্নীতি রোধ করতে কেন্দ্রীয় পুলিশ, নির্বাচন সংক্রান্ত বিভাগ গোয়েন্দা সংক্রান্ত বহু-বিভাগীয় কমিটি (MDCEI) শুক্রবার এখানে বৈঠক করেছে। সেখানে ভোটের সময় তৈরি হওয়া অপরাধগুলো বন্ধে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালে ইকনমিক ইন্টেলিজেন্স প্যানেল তৈরি করে কমিশন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কমিটি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে বৈঠক করেছিল, কিন্তু এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তা করেনি।
আরও পড়ুন- ১৫ বছরে বিহারে এই প্রথম কমে গেল মহিলা ভোটারের অনুপাত!
শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও নির্বাচন কমিশনার এস এস সান্ধু ও বিবেক যোশী। এই কমিটিতে রয়েছে ১৭ টি বিভাগ। যথাক্রমে এগুলি হল কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ড, কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর বোর্ড এবং শুল্ক, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ, কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ব্যুরো, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট – ভারত, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক, ভারতীয় ব্যাংক সমিতি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো, রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী, কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী, সশস্ত্র সীমা বল, বেসামরিক বিমান চলাচল সুরক্ষা ব্যুরো, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ডাক বিভাগ। প্রতিটি বিভাগ থেকেই তাদের প্রস্তুতি, কীভাবে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে, প্রভাব মুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্থ করা হয়।
দেখুন আরও খবর-