হায়দ্রাবাদ: শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হায়দ্রাবাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ওয়াজিরক্সের জানমাই ল্যাবে তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশিতে ৬৪.৬৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকেরা। কয়েকদিন আগেই অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সংসদে বলেন, ইডি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ওয়াজিরক্স সম্পর্কিত দুটি মামলার তদন্ত করছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ওই সংস্থার অধিকর্তা সমীর মাত্রেকে নিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। তার ওয়াজিরএক্সের ডেটাবেসে সম্পূর্ণ দূরবর্তী অ্যাক্সেস রয়েছে। কিন্তু তিনি লেনদেনের বিশদে কিছু জানাননি।
ইডির প্রাথমিক অনুমান, কিছু চীনা অনলাইন আর্থিক সংস্থা এবং লোন অ্যাপ তাদের লভ্যাংশ ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার জন্য লগ্নি করেছে। এর ফলে বিদেশেও বহু টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে কিছু ফিনটেক সংস্থাও রয়েছে। তারা একদিকে যেমন ঋণ দিতে অস্বীকার করে, তেমনি ব্যক্তিগত নথিরও নানাভাবে অপব্যবহার করেছে। এখানেই শেষ নয়, ঋণ গ্রহীতাদেরও নানাভাবে অপমান করা হয়। এই সংস্থাগুলি কিছু বেআইনি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে তাদের লাইসেন্স ব্যবহার করে। তাতেও বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: Sanjay Raut: পাশে থাকার জন্য বিরোধীদের ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের
ইডির এক নোটে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তহবিল পাচার হয়েছে ওয়াজিরক্স এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। বহু ক্রিপ্টোকারেন্সি চলে গিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় বিদেশি ওয়ালেটে। তাদের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, ওই ওয়াজিরক্সের মালিক জানমাই ল্যাবস আমেরিকা, সিঙ্গাপুর এবং কেম্যান আইল্যান্ডের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ওয়েব চুক্তি করে।