নয়াদিল্লি: আফগানস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার টেলিফোনে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও কানাডার বিদেশ মন্ত্রী মার্ক গারনিউ। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার পরবর্তী কি হবে আফগানিস্তানের অবস্থা তা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয় দুই বিদেশ মন্ত্রীর।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল তালিবানের দখলে যাওয়ার পর সেদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার ও নারী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত ও কানাডা। কত দুসপ্তাহে ধারাবাহিক জঙ্গি আক্রমণের মধ্যেও আফগান নাগরিকদের দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা আর বাঁচার কাতর আর্জি চাক্ষুষ করেছে গোটা বিশ্ব। যদিও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিল তালিবান।
আরও পড়ুন: ফেলে যাওয়া অস্ত্র আর মার্কিন বিমান পেয়ে উচ্ছাসিত তালিবান
Welcomed the call from Canadian FM @MarcGarneau today.
Good discussion on the challenges of Afghanistan.
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) September 1, 2021
সেই আশ্বাসের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার দোহাতে তালিবানের সঙ্গে কূটনীতিক পর্যায়ে বৈঠক করে ভারত। তালেবানের পক্ষ থেকে আগামী দিনে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তালিবান নেতা শের মহম্মদ স্তানিকজাই। যদিও ভারত তালিবানের এই বৈঠক ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ঘরোয়া রাজনীতিতে।
সম্প্রতি তালিবান ও আফগানিস্তানের প্রশ্নে কিসের সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিল মোদি সরকার। তারই প্রেক্ষিতে আফগানিস্তান ইস্যুতে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করে কেন্দ্র। তার মধ্যেই এই ‘দোহা বৈঠক’ নিয়ে কেন্দ্রকে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও সম্প্রতি তালিবান প্রশ্নে জিরো টলারেন্সের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আফগান পরিস্থিতির গতি প্রকৃতির ওপর এবং সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা নিয়ে তীক্ষ্ণ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: কৃষি বিলের প্রতিবাদে ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক কৃষক সভার
সেই দিকে নজর রেখেই বেশ কিছুদিন আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।