নয়াদিল্লি: তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ‘টাকার বদলে প্রশ্ন’র (Cash for Query) অভিযোগে লোকসভার (Lok Sabha) এথিক্স কমিটি (Ethics Commitee) মঙ্গলবারের পরিবর্তে বসছে বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর। ওইদিনই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগের খসড়া রিপোর্ট (Draft Report) পেশ করা হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এথিক্স কমিটির প্রধান বিজেপি এমপি বিনোদকুমার সোনকারের তদন্তকাজ শেষ। তিনি সুপারিশ তৈরি করার কাজও গুটিয়ে ফেলেছেন। কমিটির ঘনিষ্ঠ সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, তৃণমূল নেত্রীর অনুমান মতো তাঁকে লোকসভার বাকি অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এথিক্স কমিটি ২০০৫ সালের দৃষ্টান্ত এক্ষেত্রে তুলে ধরতে পারে। যেবার সংসদের ১১ জন সদস্যের বিরুদ্ধ প্রশ্নের বদলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের সকলেরই সদস্যপদ বাতিল করেছিল এথিক্স কমিটি। সাধারণত এথিক্স কমিটিতে কোনও অভিযোগ উঠলে দল মাথা গলায় না। এবারেও মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তিনি নিজে কমিটির বিরুদ্ধে নানান বিতর্কিত কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই স্পিকটি নট হয়ে বসে আছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এথিক্স কমিটির বিরুদ্ধে ‘বস্ত্রহরণ’এর অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আপত্তিকর, অপমানজনক প্রশ্ন করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলের আগেই এথিক্স কমিটি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মহুয়াসহ বিরোধী এমপি-রা। কিন্তু, তারপর রাতে এবং এদিন সকালেও এক্স বার্তায় একটি দীর্ঘ চিঠি লেখেন তৃণমূল এমপি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে উদ্দেশ করে লেখা এক চিঠিতে মহুয়া তাঁকে বস্ত্রহরণের মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে বর্ণনা করেন। তাঁর অভিযোগ মূলত কমিটির চেয়ারপার্সন বিজেপি সাংসদ বিজয়কুমার সোনকারের বিরুদ্ধে। প্যানেলের অন্যান্য সদস্যের সামনে তিনি তাঁকে প্রবাদে বর্ণিত বস্ত্রহরণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মহুয়া।
তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) মহিলা নির্যাতনের তাস খেলছেন বলে পালটা অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। মহুয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে শুক্রবার তিনি বলেন, এথিক্স কমিটি (Ethics Commitee) যদি অশালীন কোনও প্রশ্ন জানতে চেয়ে থাকে, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগকারী নিশিকান্ত এদিন বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁকে যদি কোনও ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে থাকে তাহলে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন।
দুবে একটি এক্স বার্তায় লিখেছেন, দর্শন হিরানন্দানি হলফনামায় দাবি করেন, ভারতে এবং বিদেশে দুর্নীতিগ্রস্ত এমপিকে বিমানভাড়া, হোটেল এবং গাড়ির খরচ দিয়েছিলেন। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান সেই টিকিট এবং হোটেলের বিল চেয়েছিলেন। যদি এর বাইরে মহুয়া মৈত্রর পুরুষ বন্ধু সম্পর্কে বাড়তি প্রশ্ন করা হয়ে থাকে, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব, লিখেছেন দুবে। সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই, সংসদের কার্যাবলির মতো এথিক্স কমিটির বিতর্কও অক্ষরে অক্ষরে লিখিত হয়।
দুবের দাবি, ক্ষমতা থাকলে কংগ্রেস, জেডিইউয়ের সংসদ সদস্যরা এর প্রমাণ দেখান। বহুজন সমাজ পার্টি সাংসদ দানিশ আলিকে কটাক্ষ করে দুবে লিখেছেন, দানিশ আপনি এত নীচে নামবেন না। মহিলাকে অপমানের মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে রাজনীতির তাস খেলবেন না।