ওয়েবডেস্ক: তীব্র দাবদাহ (Severe heatstroke) থেকে আশার আলো জুগিয়েছিল বৃষ্টি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল বিহার। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি প্রাণ কেড়ে নিল বহু মানুষের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিহারে (Bihar) কমপক্ষে ১৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক চাষের জমি ও ফসল নষ্ট হয়েছে। একনাগাড়ে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের (Lightning) জেরে মৃত্যুমিছিল রাজ্য জুড়ে।
এর মধ্যে বেগুসরাইয়ে পাঁচজন, দারভাঙ্গায় পাঁচজন, মধুবনিতে তিনজন, সহরসা ও সমস্তিপুরে দু’জন করে এবং বিহারের লক্ষীসরাই ও গয়া জেলায় একজন করে মৃত্যু হয়েছে। শিলাবৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের সঙ্গে ঝড়ের ফলে দারভাঙ্গা, মধুবনী, সমস্তিপুর, মুজাফফরপুর, সীতামারহি, শিবহার এবং পূর্ব চম্পারণে রবি ফসল, বিশেষ করে গম, আম এবং লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাবীরের আদর্শ অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, যার মধ্যে আমিও আছি: মোদি
স্থানীয় কৃষকরা এই সপ্তাহে বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষতির কথা জানিয়েছেন। ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (CM Nitish kumar)। এত মানুষের মৃত্যু, বিপুল পরিমাণ ক্ষতির কারণে প্রতি পবিবারের প্রতি ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ (compensation) ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনগুলিকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং ত্রাণ ব্যবস্থা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছে, ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিহারে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া জারি থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সতর্কতা জারি করা হয়েছে একাধিক জেলায়। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরেই বিহারে দুর্যোগ জারি আছে। আগামী পাঁচদিন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ, সিয়ান, সরন, মুজাফফরনগর, বৈশালী, মাধেপুরা, ভাগলপুর, শেখপুরা, পাটনা, নালন্দা, গয়ায় আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। ৮ এপ্রিল থেকে আবহাওয়ার তীব্র পরিবর্তন ঘটে। হঠাৎ ভারী বৃষ্টি ও সেইসঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার কারণে পাটনা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে দেয়। সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি স্বস্তি দিলে দুর্যোগ নেমে আসে।
আবহাওয়া বিভাগ বিহারবাসীকে ঝড়ের সময় ঘরের ভেতরে থাকার, বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ এড়িয়ে চলার সহ খোলা জিনিসপত্র সুরক্ষিত বা বেঁধে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: