কলকাতা: রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত এই বার্তা দিয়েছেন বাবুল। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে। আর এই সেই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর দখলে বঙ্গ বিজেপি, অস্তিত্বের সঙ্কটে দিলীপ: ফিরহাদ
শনিবার বিকালের পর থেকে বাবুলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷ বাবুলের ফেসবুক পোস্টের শুরু এবং শেষে লেখা, চললাম অলবিদা৷ শব্দদুটি বেশ ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তার পরই বাবুলের রাজনীতিকে বিদায় জানানো নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে৷
বাবুল মোরা,
নঈহার ছুট হী যায়!!— Bratya Basu (@basu_bratya) July 31, 2021
আরও পড়ুন- ‘চললাম অলবিদা’, বাবুলের ফেসবুক পোস্টে তোলপাড় রাজনীতি
এদিন বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সময়ে বাবুল সুপ্রিয়ের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে তিনি অবগত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তিনি বলেছেন, “বাবুল এখনও আমাদের সহকর্মী আছেন। উনি দলের সাংসদ।”
আরও পড়ুন- নেই পাকা রাস্তা, হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে সাপের কামড়ে মৃত্যু হকি খেলোয়াড়ের
২০১৪ সাল থেকে টানা দুইবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তবে আগামী একমাস সময়ের মধ্যে তিনি সেই সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন বলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে উল্লেখ করেছেন বাবুল। যা নিয়ে পালটা প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি কারো ট্যুইটার বা ফেসবুক দেখি না।” বিষয়টি সম্পর্কে তাঁর কিছুই জানা নেই বলে সাংবাদিকদের সামনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন দিলীপবাবু।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ ‘কেড়ে’ নেওয়ার পর থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের উপর অভিমান-ক্ষোভ চেপে রাখেননি বাবুল সুপ্রিয়৷ ফেসবুক পোস্টেও সেটা উল্লেখ করেন তিনি৷ বাবুল লিখেছেন, ‘প্রশ্ন উঠবেই কেনই বা রাজনীতি ছাড়তে গেছিলাম? মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সাথে তার কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ আছে-কিছুটা তো নিশ্চয় আছে!’
গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে ২০১৪ সালে প্রথম রাজনীতিতে প্রবেশ৷ সেই বছরই তাঁকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে বিজেপি৷ ভোটের প্রচারে আসানসোলে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে৷’ মোদির কথা রাখেন আসানসোলবাসী৷ বিপুল ভোটে জিতিয়ে বাবুলকে সংসদে পাঠান ভোটাররা৷ ওই বছর রাজ্য থেকে দু’জন সাংসদ পায় বিজেপি৷ দু’জনকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেন মোদি৷ এর পর ২০১৯ সালে সেই আসানসোল কেন্দ্র থেকে পুনরায় ভোটে দাঁড়ান বাবুল৷ ফের জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন৷