ওয়েবডেস্ক: সকালে এক চায়ের দোকানে তুমুল চর্চা। হাতে খবরের কাগজ নিয়ে মাঝ বয়সী একজন বললেন, কত জনমের পুণ্য করেছেন বলনু দেখি। ১২৮ বছর…। ভাবা যায়! ২৮ বছরের আগেই কতজন ঝরে যায়। পাশ থেকে আরেকজন বললেন, কী খেতেন তাই ভাবছি। এখনকার ভেজাল খাবার খেয়ে ওই আয়ু পাওয়া সম্ভব নয়। খরিদ্দারদের চা দিতে দিতে বৃদ্ধা বললেন, উনি মহাপুরুষ গো। বারণসীতে শনিবার রাতে প্রয়াত হলেন বাবা শিবানন্দ (Baba Shivanand)। বাঙালি। বাংলাদেশের সিলেটে জম্মেছিলেন। তাঁর ভক্তদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত তিনিই এই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আয়ুর অধিকারী। তবে গুগলে এই তথ্য মেলেনি। তিনি কি সত্যিই ১২৮ বছর বেঁচেছিলেন তা নিয়ে দ্বিধা থাকতে পারে। তবে দীর্ঘায়ু বাবার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান তাঁর ভক্তরা। আধ্যাত্মিক জীবন ও যোগ সাধনা করে তানি ভক্তদের হৃদয়ে থেকে গিয়েছেন। তবে তাঁর এই বিশাল জীবন রহস্য নিয়েই এখন চর্চা সর্বত্র। কথিত আছে, লোকনাথ বাবা ১৬০ বছর বেঁচেছিলেন। এক ঝলক দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয়ু পাওয়া মানুষগুলিকে।
জিয়ানে কালমেন্ট (Jeanne Calment)। ফ্রান্সের বাসিন্দা। ১২২ বছর বেঁচেছিলেন।
আরও পড়ুন: ১২৮-এ থামল জীবনের চাকা, অমৃতলোকে পাড়ি যোগী শিবানন্দ বাবার
সারা নৌওস (Sarah Knauss)। আমেরিকার বাসিন্দা। গিনেস বুক অফ রেকর্ডে বিশ্বের সব থেকে বেশি আয়ুর অধিকারী। তিনি ১১৯ বছরে প্রয়াত হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাঁর পরিবারেই দীর্ঘ আয়ুর ইতিহাস রয়েছে।
কানে তানাকা (Kane Tanaka) । জাপানের বাসিন্দা। ১১৯ বছরে প্রয়াত হন। তাঁর এই আয়ুর রহস্যের ক্ষেত্রে তিনি বলেছিলেন, যেটা ভালো লাগে তিনি সেটাই খেতেন। যেটা ভালো লাগে তিনি সেটাই করতেন।
লুসিলে রান্ডন আকা সিস্টার আন্দ্রে (Lucile Randon A.K.A Sister Andre)। তিনি একজন ফরাসী সন্ন্যাসিনী। ১১৮ বছরে তাঁর মৃত্যু হয়। অনাথদের সেবায় জীবন অতিবাহিত করেছেন।
আইওয়ার বাসিন্দা বেসে হেন্ড্রিকস (Bessie Hendricks) ১১৫ বছরে প্রয়াত হন। জীবনে শিক্ষিা ছিলেন তিনি। গুগলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলের জোয়াও মেরিনহো নেটোর বর্তমান বয়স ১১২ বছর।
দেখুন অন্য খবর: