নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়র শীর্ষ আদালত নিয়ে মন্তব্যের পরই বিরোধী ও প্রবীণ আইনজীবীদের রোষের মুখে পড়লেন। এবার জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জোসেফ কুরিয়েন (Kurien Joseph)। প্রাক্তন বিচারপতি বলেছেন, সবার উপরে সংবিধান। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন।
সম্প্রতি ধনখড় বলেছেন, সংবিধানের ১৪২তম অনুচ্ছেদে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ক্ষমতা ‘পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র’-র সমান হয়ে উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দিতে পারে না। ধনখড়ের ওই কথা ভুল, বলেছেন বিচারপতি কুরিয়েন। তিনি বললেন, ‘সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা সুপ্রিম কোর্টকে সংবিধান রক্ষায় সবাইকে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে’। প্রাক্তন বিচারপতি কুরিয়েন কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, সংবিধান-সম্মত কথা বলছেন না দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক এক নির্দেশ, যেখানে বলা হয়েছে যে রাষ্ট্রপতিকে গভর্নরদের দ্বারা সংরক্ষিত বিলগুলি তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উপরাষ্ট্রপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার কি সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে? শীর্ষ আদালত নিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, উপরাষ্ট্রপতির পদে বসে থাকা ব্যক্তি, যাঁর রাজ্যসভা পরিচালনা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই, তাঁর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রশ্ন তোলার কী এক্তিয়ার রয়েছে কি না? জগদীপ ধনখড় ব্যক্তিগত ভাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু সরকারের দিক থেকে সমালোচনা করতে হলে কোনও মন্ত্রী বা সরকারি আইনজীবীর তা করা উচিত।
আরও পড়ুন: বিবাদ ভুলে ২০ বছর পর হাত মেলাচ্ছেন উদ্ধব এবং রাজ ঠাকরে?
এ প্রসঙ্গে প্রবীণ আইনজীবী এবং রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল বলেন, “মানুষ মনে রাখবে যে যখন ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত এসেছিল, তখন কেবলমাত্র একজন বিচারপতি – বিচারপতি কৃষ্ণ আইয়ার – সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন এবং তাকে অপসারণ করা হয়েছিল। ধনখড়জির কাছে এটি গ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্তু, এখন, সরকারের বিরুদ্ধে দুই বিচারপতির বেঞ্চের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? জগদীপ ধনখড়ের বক্তব্য দেখে আমি দুঃখিত এবং অবাক হয়েছি। প্রাক্তন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমান লেখি উপরাষ্ট্রপতির মন্তব্যকে বেপরোয়া বলে বর্ণনা করেছেন। “তার সমালোচনা ভুল।
অন্য খবর দেখুন