ওয়েবডেস্ক- মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিজেপি সভাপতি (Bjp President) নির্বাচিত হলেন রবীন্দ্র চহ্বান (Ravindra Chavan) । রবীন্দ্রকে সভাপতি করার পিছনে আরএসএস (RSS) ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Devendra Fadnavis) জোড়ালো সমর্থন ছিল।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু আনুষ্ঠানিকভাবে রবীন্দ্র চহ্বানের নাম ঘোষণা করেন। বিজেপি নেতা রবীন্দ্র চহ্বান চারবারের বিধায়ক। মুম্বইয়ে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে রিজিজু এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের উপস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন চহ্বান। নতুন রাজ্য ইউনিট প্রধান নির্বাচনের জন্য বিজেপি কিরেন রিজিজুকে (Kiren Rijiju) কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচনের দায়িত্বে নিযুক্ত করেছিল।
এই বছরের শেষের দিকে থানে এবং কল্যাণ-ডোম্বিভলি পুর কর্পোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সংস্থাগুলি সহ মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চলের (এমএমআর) স্থানীয় সংস্থা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে এই সময় রবীন্দ্র চহ্বানের সভাপতি পদে নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন- কর্নাটকে বাঁচল কংগ্রেসের মুখ! মুখ্যমন্ত্রী পদে অটল সিদ্দারামাইয়া
একদম তৃণমূল স্তর থেকে সাংগঠিক কাজ করার দক্ষতা রয়েছে রবীন্দ্র চহ্বানের। শিবসেনা-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দেবেন্দ্র ফড়নবিসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং থানে জেলার একজন বিশিষ্ট মারাঠা মুখ হলেন রবীন্দ্র চহ্বান, ফলে তাঁর নেতৃত্ব ভোটের আগে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবীন্দ্র চহ্বান ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ৭৭,০০০-এরও বেশি ভোটের বিশাল ব্যবধানে ডোম্বিভলি থেকে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। চহ্বান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) দিয়ে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন, ২০০২ সালে ভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বিজেপির পদমর্যাদার মধ্য দিয়ে উঠে আসেন।
২০০৫ সালে কর্পোরেটর, ২০০৭ সালে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ২০০৯ সালে বিধায়ক হন। ফড়নবিসের ঘনিষ্ঠ রবীন্দ্র চহ্বান তিনি ২০১৬ সালে প্রতিমন্ত্রী হন এবং পরে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন সরকারে পূর্ত বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বেশ কয়েকটি কোঙ্কন জেলার অভিভাবক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যা এই অঞ্চলে বিজেপির ভিত্তি শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছিল, যেখানে ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা ৩৯টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসন জিতেছিল।
দেখুন আরও খবর-