নয়াদিল্লি: পেগাসাসের পর এ বার টেক-ফগ নিয়ে উত্তাল হতে চলেছে জাতীয় রাজনীতি। গোপন অ্যাপের সাহায্যে সোশাল মিডিয়ায় শাসক দল বিজেপি’র হয়ে কৃত্রিম এবং মেকি জনমত তৈরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে টুইটারের ট্রেন্ডকে নিজেদের মত ইচ্ছে মত ব্যবহার করার। ‘দ্য ওয়্যার’-এর পোর্টালে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। হুইশলব্লোয়ারের এই দাবির সত্যতা কতটা? এতে করে কি জাতীয় নিরাপত্তা বিপদের মুখে? আলোচনা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে চিঠি লিখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক-ও-ব্রায়েন। দলের বক্তব্য, টেক-ফগ দেশের নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলতে পারে। চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে টেক-ফগ নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আলোচনার দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ‘দ্য ওয়্যার’-এর তদন্ত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে চিঠিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ দেশে সফটওয়্যার ব্যবহারের যে নিয়ম নীতি রয়েছে, টেক-ফগ তা লঙ্ঘন করেছে।
এর আগে পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে আড়িপাতার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল ‘দ্য ওয়্যার’। আরও একাধিক সংবাদ মাধ্যম এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সংস্থা একসঙ্গে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। দেখা যায় ভারতের একাধিক রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা, সাংবাদিকদের ফোনের যাবতীয় তথ্য লোপাট করা হয়েছে পেগাসাস সফটওয়ারের সাহায্যে। তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। সংসদ ভবনেও সেই উত্তাপ গিয়ে পৌঁছয়। পেগাসাস তদন্ত নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে। সেই কমিটি পেগাসাস সফটওয়্যার কারা ব্যবহার করেছিল? কার নির্দেশে এত জনের ফোনে আাড়িপাতা হল, তার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
আরও পড়ুন-বিজেপির হয়ে ‘প্রোপাগান্ডা’, সোশাল মিডিয়ায় আইটি সেলের ঘৃণা প্রচার, আড়ালে টেক-ফগ অ্যাপ
শীতকালীন অধিবেশন শেষে সংসদ ভবন এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। তবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে টেক-ফগ অ্যাপ বিতর্ক বিরোধীদের যে নতুন অক্সিজেন দেবে তার আন্দাজ করাই যায়।