নয়াদিল্লি: আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ঝুপড়িবাসীদের ঘরছাড়া করেছিলেন এক ডেপুটি কালেক্টর (Deputy Collector)। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে তাঁর পদাবনতি হল, সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও হল। অন্ধ্রপ্রদেশের ওই ডেপুটি কালেক্টরকে তহশিলদার পদে অবনমনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ঝুপড়িবাসীদের ঘর ভাঙার অভিযোগ ছিল ডেপুটি কালেক্টরের বিরুদ্ধে। অন্ধপ্রদেশের (Andhra Pradesh) গুন্টুর (Guntur) জেলার ওই ঘটনায় একইসঙ্গে তাঁকে চার সপ্তাহের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা জরিমানার অর্থ জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত অবমাননার মামলায় ওই ডেপুটি কালেক্টরকে অপরাধী সাব্যস্ত করে দুই মাসের সাধারণ কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন ওই আধিকারিক। সেই মামলায় বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির অভিমত এবং নির্দেশ, সাজা দান নয়, বরং ক্ষমাশীলতা আইনি ব্যবস্থার মহিমা।
আরও পড়ুন: রাজ্যকে জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকরের নির্দেশ দিতে পারে না সুপ্রিম কোর্ট
আবেদনকারীর প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর যদিও কোন সুযোগ নেই। বিশেষত তার গোঁয়ার এবং অনুভূতিহীন অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু এমন আচরণের জন্য তাঁর সন্তান ও পরিবারের ক্ষতি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। যদি তাঁকে দুই মাস কারান্তরালে কাটাতে হয়, তাহলে তাঁর চাকরি যাবে। ফলে পরিবারের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কারাদণ্ডের পরিবর্তে তার পদাবনতি যুক্তিপূর্ণ। সেইসঙ্গে তাকে দিতে হবে এক লক্ষ টাকা জরিমানা।
আদালতের আরও মন্তব্য, যখন আদালত কোনও নির্দেশ দেয়, তখন প্রতিটি কর্তৃপক্ষের, সে যত উঁচু স্তরেই থাক না কেন, পালন করা দরকার। আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অর্থ, আইনের শাসনের ভিত্তিকে আক্রমণ। যে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে গণতন্ত্র।
দেখুন অন্য খবর: