নয়াদিল্লি: ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া দলের যুব নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার তাঁর নির্দেশে দিল্লিতে গর্জে উঠলেন দলের সাংসদরা৷ ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীদের উপর হামলা ও তাঁদের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার সকালে দিল্লির গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান ডেরেক ও’ব্রায়েনরা৷ স্লোগান ওঠে, ‘নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহের গুন্ডাগিরি চলবে না৷’ ‘বিজেপি মুর্দাবাদ৷’
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মোদি
এদিনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায়, সৌগত রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ অন্যান্য সাংসদরা৷ সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে প্ল্যাকার্ড হাতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে যান তাঁরা৷ শুরু হয় প্রতিবাদ৷ ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চান তাঁরা৷
শনিবার ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা৷ কিন্তু মহামারি আইন অমান্য করায় তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ৷ নিয়ে যাওয়া হয় থানায়৷ যদিও দেবাংশুদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁদের উপর হামলা করে৷ খবর পেয়েই রবিবার সকালে কলকাতা থেকে ত্রিপুরা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যুব নেতা-নেত্রীদের মুক্তির দাবিতে থানায় ধর্নায় বসে পড়েন তিনি৷ জানিয়ে দেন, দেবাংশুদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত থানাতেই থাকবেন তিনি৷ অবশেষে আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান সকলে৷ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের৷
আরও পড়ুন: বিজেপির বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতে অধিবেশনের আগে বিরোধীদের বৈঠক
এর পরই ত্রিপুরার গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ত্রিপুরায় নৈরাজ্য চলছে৷ আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই৷ শাসকের আইন চলছে৷ আইনের শাসন নয়৷ তৃণমূলের উপর যত আঘাত বাড়বে তত তৃণমূলের জেদ বাড়বে৷ এই নৈরাজ্য বেশিদিন চলবে না৷ বিজেপিকে কীভাবে হারাতে হয় তা তৃণমূল জানে৷