কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়। বছর দুয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ধর্ষিতার পরিবারের সুরক্ষার জন্য নিয়োগ করা হয় নিরাপত্তা কর্মী। কিন্তু সম্প্রতি ধর্ষিতার পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে নির্দেশ দিল দিল্লির আদালত।
স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তদন্ত চালাক সিবিআই। এমন নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির সেশন কোর্টের বিচারক ধর্মেশ শর্মা।
আরও পড়ুন: যোগী পুলিশকে নিরপেক্ষ পদক্ষেপের নির্দেশ অমিত শাহের
আদালত সূত্রে খবর, উন্নাওয়ে ধর্ষিতার পরিবারের এক মহিলার করা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযোগ, পরিবারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা ওই পরিবারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। এমনকি তাদের চলাফেরার ক্ষেত্রেও অকারনে বাধা সৃষ্টি করত। যার ফলে অহেতুক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল পরিবারটিকে।
এদিকে উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তেকে সন্দেহ করা অযৌক্তিক বলে শনিবারই জানিয়েছিল আদালত। প্রশ্ন উঠেছিল রায়বেরেলিতে ধর্ষিতার পরিবারের গাড়ি দুর্ঘটনায় তদন্তে ঢিলেমি করছে সিবিআই। সেই অভিযোগ গতকাল নস্যাৎ করে দিল্লির আদালত। কিন্তু সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই উন্নাও কান্ডে আরও এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন: ধানবাদে বিচারপতির মৃত্যু মামলায় সাসপেন্ড অফিসার ইনচার্জ
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশে উন্নাওয়ে একটি নাবালিকা ধর্ষণ করে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। তারপর সেই পরিবারের ওপর একাধিকবার আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল কুলদীপের বিরুদ্ধে। অবশেষে ২০১৯ সালে জীবন্ত জ্বালিয়ে ওই ধর্ষিতা যুবতীকে খুন করে কুলদীপ সেঙ্গার ও তাঁর দলবল। ঘটনাটিতে শোরগোল পড়ে জাতীয় রাজনীতিতে। কুলদীপ এর শাস্তি দাবি তুলে সরব হয় দেশের সমস্ত বিরোধীদলগুলি। কাঠগড়ায় তোলা হয় যোগী প্রশাসনকেও। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে কুলদীপ সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
দু বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ঘটনার রেশ আজও কাটেনি। এবার উন্নাও কান্ডে ধর্ষণ ছাড়াও পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলিকে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উন্নাও কান্ডে আদালতের তৎপরতা যোগী প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।