কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: এক বিবাহিত মহিলার এক তরফা প্রেমে পড়ে আত্মঘাতী যুবক। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী ওই মহিলা। এই অভিযোগ ঘিরে উত্তাল দিল্লির (Delhi woman) উপকণ্ঠে শাহদারা এলাকা। বুধবার, সাধারণতন্ত্র দিবসে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কস্তুরবা নগরে ওই মহিলাকে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল। এখানেই শেষ নয়। মাথা কামিয়ে, মুখে কালি লেপে জুতোর মালা পরিয়ে মহিলাকে ঘণ্টাখানেক ধরে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হয়। মাঝেমধ্যেই স্থানীয় মহিলাদের তাঁকে চড় থাপ্পড় মারতে দেখা যায় একটি ভিডিয়োতে।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হতে নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিস। চার মহিলাকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। যৌন হেনস্থার অভিযোগে মামলাও করা হয়। শাহদারা পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানান, তদন্ত চলছে পুলিস সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
২০ বছর বয়সি ওই মহিলার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। দিন কয়েক আগে আত্মঘাতী হন প্রতিবেশী যুবকটি। পুলিসের দাবি, মহিলার দিক থেকে কোনও সাড়া না মিললেও ওই যুবক তাঁর প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলার জন্যই আত্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন যুবকটি। এরপরই স্থানীয় মহিলাদের সমস্ত ক্রোধ গিয়ে পড়ে ওই মহিলার উপর।
বিহার, উত্তরপ্রদেশের কোনও অজ পাড়া গাঁ নয়, খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে এই ঘটনায় স্তম্ভিভ বিভিন্ন মহল। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল জানান, তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করেছেন। দিল্লি পুলিসের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- Bihar Accident: বিহারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু শিশুর, পতাকা তোলার সময় বিপত্তি
স্বাতী বলেন, ‘আমরা চাই গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তাছাড়া ওই মহিলাকে রাস্তায় ঘুরিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, মহিলাকে যখন ধর্ষণ করা হচ্ছিল তখন ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে অনেকে সেই দৃশ্য উপভোগ করছিলেন। তিনি জানান, শাহদারার ওই এলাকায় প্রায় প্রতি ঘরেই বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হয়। নিত্য মদের আসর বসে। সেই আসর ঘিরে দুষ্কৃতীদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই মারামারিও হয়।