ওয়েব ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে হৃদয় দুলিয়ে দিতে পারে। রুপের ছটা চোখ ধাঁধানো। হাই সোসাইটিতে চলাফেরা। দামি গাড়ি। বড় বড় পার্টিতে তাঁর উপস্থিতি। বিলাসবহুল জীবন যাপন। দামী ব্র্যান্ডের পোশাক, গয়না পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্ল্যামারের বিকিরণ। সেই সুন্দরী জয়া খানকে (Zoya Khan) তন্ন তন্ন করে খুঁজছিল দিল্লি পুলিশ। উত্তরপূর্ব দিল্লির (North East Delhi) মাদক পাচার (Drug Supply) চক্র চলছিল তাঁর নির্দেশেই। কিছুতেই পুলিশ তাঁর কারবারের টিকি খুঁজে পাচ্ছিল না। চার-পাঁচজনের সশস্ত্র দুষ্কৃতী ঘিরে থাকত তাঁকে। তোলাবাজি (Extortion), মাদকের কারবার দাপটের সঙ্গে করছিলেন। এগারোটি মুলকের মতো বিভিন্ন থানার পুলিশ বছরে পর বছর ধরে তাকে ধরতে পারছিল না। তাকে দেখা গেলেও কোনও প্রমাণ মিলছিল না। তৈরি করা হয় বিশেষ টিম। অবশেষে পুলিশের জালে ওই লেডি ডন। উত্তরপূর্ব দিল্লির গ্যাংস্টার হাসিম বাবা জেলে যাওয়ার পরে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী জয়াই মাদক পাচার সাম্রাজ্য চালাচ্ছিলেন। হাসিমবাবার বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজির ভুরি ভুরি অভিযোগ। উত্তরপূর্ব দিল্লির ওয়েলকাম এলাকা থেকে মাদক চালানের সময় বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল তাঁকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ২৭০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম ১ কোটি টাকা। দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পার্কারের সঙ্গে তাঁর অপারেশনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। যেভাবে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের অবৈধ কারবার মুম্বই পুলিশের নজর এড়িয়ে বাইরে থেকে সামলেছিলেন হাসিনা।
হিন্দি বলয়ের দুই রাজ্য বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরপূর্ব দিল্লিতেও গ্যাংস্টারদের প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে। তার মধ্যে একটি হল হাসিম বাবার গ্যাং। তিনি তিহার জেলে বন্দি। তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্য দেখভাল করছিলেন জয়া। জয়ার দ্বিতীয় বিয়ে এটি। জয়া বারবার পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিলেন। তবে জয়ার বাপের বাড়িতেও মাদক কারবারের ইতিহাস রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেখানেই হাতেখড়ি। জয়ার বাবা মাদকপাচারের যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। এমনকী জয়ার মায়ের বিরুদ্ধেও মধুচক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তিনিও হাজতবাস করেছেন। জয়াকে ধরতে পেরে হাঁফ ছেড়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের এসিপি সঞ্জয় দত্ত, ইন্সপেক্টর সঞ্জয় দাবাসের জালে ধরা পড়েন লেডি ডন। জয়া নিয়মিত জেলে হাসিম বাবার সঙ্গে দেখা করতেন।
আরও পড়ুন: বেধড়ক মার! বিজেপি শাসিত রাজ্যে আক্রান্ত কংগ্রেস সাংসদ
পুলিশ মনে করছে নাদির শাহ খুনের ঘটনায় শুটারদের আশ্রয় দিয়েছিলেন জয়া। উত্তরপূর্ব দিল্লিতে চেনু গ্যাং, হাসিমবাবা গ্যাং, নাসির পেহেলওয়ান গ্যাং কুখ্যাত।
দেখুন অন্য খবর: