নয়াদিল্লি : ‘যদি ট্যুইটার মনে করে, আমাদের দেশে তারা যত চায় তত সময় নিতে পারে, আমি তার অনুমতি দেব না।’ মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। কবে তারা ভারতে আধিকারিক নিয়োগ করবে সে বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ট্যুইটারকে জানাতেও নির্দেশ দেয় আদালত। ইতিমধ্যেই দেশের নতুন তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ম অনুসারে ভারতে আধিকারিক নিয়োগের সময়সীমা পেরিয়ে গেছে ট্যুইটার। এর জন্য আরও দু’সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানালে কড়া ভাষায় ট্যুইটারকে হুঁশিয়ারি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সোশাল মিডিয়ায় নতুন আইটি বিধি মেনে চলার শেষ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে ট্যুইটার। তারা জানিয়েছে, তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। তবে তাদের আরও দু’সপ্তাহ প্রয়োজন হবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি রেখা পাল্লি ট্যুইটারের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের কত সময় লাগবে? যদি ট্যুইটার মনে করে থাকে, আমাদের দেশে সে যত খুশি সময় নিতে পারে, তা হলে আমি সেটার অনুমতি দেব না।’
আরও পড়ুন : শিশু পর্নের ‘কনটেন্ট’ নিয়ে মহিলা কমিশনের চিঠি, বিপাকে ট্যুইটার
আদালতে ট্যুইটারের তরফে তাদের পরামর্শদাতা সাজন পুবাইয়া বলেন, অভিযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়োগে আরও দু’সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। বিচারপতি জানতে চান, ২১ জুন ধর্মেন্দ্র চতুর ইস্তফা দেওয়ার পরেও কেন এখনও পর্যন্ত অভিযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি?
আদালত আইনজীবীকে ট্যুইটারের থেকে যথাযথ টাইমলাইন নেওয়ার কথা বললে তিনি একদিন সময় চান।
বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, আপনারা স্পষ্ট জবাব নিয়ে আসুন, না হলে সমস্যায় পড়বেন। বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির দিন দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রর তরফে বলা হয় যে ট্যুইটারকে ইতিমধ্যে ৩ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা নিয়ম মানেনি।
এর উত্তরে হাইকোর্ট বলে, ‘আমরা ওদের কোনও সুরক্ষা দিচ্ছি না। আর সেটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ওদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।’