ওয়েব ডেস্ক: সরকারি জমি (Government Land) জবরদখল (Illegal Acquiring) নিয়ে এবার বড় রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। আদালত জানাল, পুনর্বাসনের (Rehabilitation) দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি জমি জবরদখলকারীরা কব্জা করে রাখতে পারে না। এমন দাবি মানা হলে সরকারি প্রকল্প আটকে থাকবে। দৃষ্টান্তমূলক অভিমত হিসেবে বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা আরও বলেন, সরকারি জমি দখলকারীদের উচ্ছেদ এবং জবরদখলকারীদের পুনর্বাসন দেওয়া না দেওয়া- দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
দিল্লি হাইকোর্ট আরও জানায়, এক্ষেত্রে আবেদনকারীরা পুনর্বাসন চাইতে পারেন না, এমনটা বলা যাবে না। কারণ সংবিধান অনুযায়ী এটা চাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কিন্তু পুনর্বাসন পাওয়ার অধিকার সম্পূর্ণভাবে নীতির উপর নির্ভরশীল, যা আবেদনকারীরা মানতে বাধ্য। আবার পুনর্বাসন পাওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ আলাদা একটি পদ্ধতি। যা সরকারি জমি থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের পদ্ধতির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সম্প্রতি এই অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে ইতিহাস লিখবেন শুভাংশু শুক্লা
আসলে গোবিন্দপুরী এলাকায় ভূমিহীন ক্যাম্পে ঝুগ্গি ঝুপড়ি থেকে আবেদনকারীদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার জন্য দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি নিয়ে যে একগুচ্ছ মামলা হয়, তার রায় হিসেবে এই অভিমত দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ২০১৫ সালের দিল্লী স্লাম এন্ড জেজে রিহ্যাবিলিটেশন পলিসি অনুসরণে ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পর্কে সমীক্ষা করে পুনর্বাসনের জন্য ডিইউএসআইবি-কে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয় এই গুচ্ছ মামলায়।
২০১৫ সালের নীতি অনুযায়ী দিল্লি উন্নয়ন পর্ষদ নির্দিষ্ট গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেছে বলে অভিমত আদালতের। কারণ পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ঝুগ্গি বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে সেখানে সমীক্ষা করা হয়। যার ভিডিও রেকর্ডিং রয়েছে। সেই সঙ্গে সমীক্ষা নিখুঁত করতে মোবাইল ফোন মারফত তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ফলে এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছে আদালত।
দেখুন আরও খবর: