নয়াদিল্লি : নতুন আইটি নীতিকে অসাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী দাবি করে, দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী
উদয় বেদি। এর প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল ও বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে নোটিশ
পাঠায়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কেন্দ্রর জবাব চাইল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। মামলাকারী আইনজীবী উদয় বেদির দাবি, এই আইনের ফলে গোপনীয়তা
ভঙ্গ হচ্ছে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের। একইসঙ্গে তাঁদের বাক স্বাধীনতাও রোধ করা হচ্ছে। খর্ব হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার, যা দেশের
সংবিধানের বিরোধী।
এই মামলায় পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে সময় দিতে পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করে ডিভিশন বেঞ্চ।
পিটিশনে আইনজীবী উদয় দাবি করেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কোন তথ্য রাখা উচিত নয়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কোনও সোশাল
মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীকে দেওয়া যায়না।
আবেদনে বলা হয়েছে, নতুন তথ্যপ্রযুক্তি নীতিতে (New IT Rule) স্পষ্ট করে এটা বলা নেই যে, সব সোশাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারী কী করে সামাজিক মাধ্যমের সমস্ত কথোপকথন না দেখে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবেন। সবার ব্যক্তিগত তথ্য না ঘেঁটে কে মেসেজটি প্রথম ছেড়েছে তা জানা সম্ভব নয়। পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত তদন্তের আওতায় না থাকলেও নতুন তথ্য-প্রযুক্তি আইনের বলে মধ্যস্থতাকারী তাঁর সব তথ্য কোনও ন্যায্য কারণ ছাড়াই ধরে রাখতে পারেন। যা সোশাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করবে।
তাঁর পিটিশনে বেদি বলেন, মধ্যস্থতাকারীর অত্যধিক ক্ষমতা নাগরিকের বাকস্বাধীনতা খর্ব করবে। যা অপ্রয়োজনীয় ও অন্যায্য। তাছাড়া
আইনে এমন কোনও নির্দেশও দেওয়া নেই যাতে কারও তথ্য আপত্তিজনক হলে, অভিযোগের আগে তার লেখক সে ব্যাপারে জানতে পারেন।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে এভাবেই মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।