ওয়েবডেস্ক: দিল্লির মুস্তাফাবাদে (Delhi Mustafabad Building Collapse) ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে (Death toll rises) দাঁড়াল ১১। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ভবনের মালিক ৬০ বছর বয়সি তাহসিনও রয়েছেন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত ১১ জনের মধ্যে আটজন একই পরিবারের সদস্য। নিহতদের মধ্যে তিনজন মহিলা এবং চারজন শিশু। আহত আরও ১১। তাদের মধ্যে ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আরও পাঁচজন এখনও চিকিৎসাধীন।
রাজধানীতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে (Heavy Rain) এই বাড়ি ধসে পড়েছে বলেছে, প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। আজ ভোর তিনটের দিকে হঠাৎ করে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে চারতলা এই ভবনটি। তিনটের কিছু আগে ২.৫০-এর দিকে দমকলের কাছে খবর যায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকল, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনাস্থলে ১০টি দমকলের ইঞ্জিন রয়েছে।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি, অবস্থা ভয়াবহ
সকালে ধবংসস্তূপ থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যেই চারজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কেউ আটকে আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে এখনও উদ্ধার কাজ জারি আছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে ভোর ২:৩৯ নাগাদ ভবনের বাসিন্দারা যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন ধসের ঘটনাটি ঘটে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
উত্তর-পূর্ব জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সন্দীপ লাম্বা জানান, ভোর ২:৩৯ মিনিট নাগাদ ভবনটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে এবং বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন।
দমকল বিভাগের আধিকারিক রাজেন্দ্র অতওয়াল জানান, ভোর ২:৫০ মিনিট নাগাদ ঘটনার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তারপরেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু জায়গাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় উদ্ধারকাজে দেরি হয়।
দিল্লির এই ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি আমার গভীর শোকজ্ঞাপন। ঈশ্বর তাঁদের আত্মার শান্তি দিন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলিকে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন।” শোকজ্ঞাপন করছেন আপ সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিরোধী দলনেত্রী অতিশী মারলেনা।
দেখুন অন্য খবর-