ওয়েবডেস্ক- এই আধুনিক যুগেও জাত-পাত বর্ণ বিদ্বেষ চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। এখনও নীচুজাত-উঁচু জাত হিসেবে মানুষকে বিচার করা হয়। আর সেই জাত পাত বিচার শুরু হয় অকথ্য অত্যাচারের মাধ্যমে। দুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেছিলেন, ওড়িশা (Odisha) উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। তার ঠিক কয়েকদিন পরেই সেই ‘ওড়িশা’ নির্মমতার চিহ্ন রাখল।
ফের দলিতের (Dalit) উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার! দুই দলিতকে অর্ধ মুণ্ডন করিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা হামাগুড়ি দেওয়ানো হল। এখানেই শেষ নয়, দুজনকে ঘাস খাওয়ানো হল, পান করানো হল নর্দমার জল। এই অকথ্য অত্যাচারের সাক্ষী থাকল ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় (Ganjam district of Odisha) । পুলিশ এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। এই অত্যাচারের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবার বারাণসীতে অমিত শাহ-র বৈঠক, উপস্থিত যোগীও
জানা গেছে, ৫৪ বছর এবং ৪২ বছর বয়সি ওই দুই ব্যক্তি ওড়িশার সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। দু’টি গরু এবং একটি বাছুর নিয়ে গাড়িতে চেপে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তারা। সেই সময় গঞ্জাম জেলায় ধারাকোট থানা এলাকায় তাদের পথ আটকায়। এর পরে গরুপাচারকারী সন্দেহে তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই দলিতের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। তারা দিতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় মারধর, থেকে নির্মম অত্যাচার। এমনকি ওই দুইজন ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া সেলুনে। সেখানে তাদের অর্ধমুণ্ডন করানো হয়।
তাদের এক কিলোমিটার রাস্তা হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করে স্বঘোষিত ‘গো-রক্ষকেরা’ (cow protectors) । ঘাস থেকে নর্দমার জল খাওয়া হয়। এদের হাত থেকে কোনও রকমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে কোনও রকমে থানায় পৌঁছে যায় আক্রান্তেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আক্রান্তদের দাবি, তাঁরা গুরুগুলি পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলেন না। বিয়েতে উপহার দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। গঞ্জাম জেলার পুলিশ সুপার শুভেন্দুকুমার পাত্র জানিয়েছেন, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
দেখুনা আরও খবর-