বেঙ্গালুরু: সালটা ২০২১৷ কিন্তু এখনও কোনও নীচু জাতির লোকের পা মন্দিরে পড়লেই শুদ্ধিকরণের নামে ওই ব্যক্তিকে যা খুশি শাস্তি দেওয়া হয়৷ কিছুদিন আগে কর্ণাটকের (Karnataka) খুশতাগি এলাকার লক্ষ্মীদেবী মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন এক দলিত (Dalit) যুবক৷ সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে গ্রামবাসীদের জন্য মহাভোজ আয়োজনে বাধ্য করেন গ্রামের মাতব্বররা৷ ঘটনার কথা জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসে পুলিশ (Police)৷ সূত্রের খবর, গ্রামের কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷
আরও পড়ুন: ভোট দিতে যাওয়ার জন্য নিজেদের উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ গ্রামবাসীদের
শনিবার জেলার পুলিশ সুপার টি শ্রীধারা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘হ্যাঁ, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে৷ গ্রামবাসীদের খাওয়াতে ১১ হাজার টাকা খরচ হয় ওই যুবকের৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে৷’ গত শুক্রবার বিষয়টা সামনে আসে৷ পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকমাস আগে গ্রামে একটি চুরির ঘটনার পর ঠিক হয় পুরোহিত ছাড়া কেউ মন্দিরে ঢুকতে পারবে না৷ কিন্তু ওই যুবক মন্দিরে কিছু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে চেয়েছিলেন৷ তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন৷ তাই গ্রামের সিদ্ধান্তের কথা জানা সত্ত্বেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি মন্দিরে যান৷ খবরটা গ্রামে রটে যেতে বেশি সময় লাগেনি৷ এর পরই সালিশি ডাকা হয়৷ ঠিক হয়, গোটা গ্রামকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে ওই দলিত যুবককে৷ এজন্য তাঁর ১১ হাজার টাকা খরচও হয়৷
আরও পড়ুন: সু্প্রিম কোর্টকে পাঠানো কেন্দ্রের ই-মেলে মোদির ছবি, প্রতিবাদ আইনজীবীদের
এই প্রথম নয়, এর আগেও ওই খুশতাগি এলাকায় দলিত পরিবারের এক আড়াই বছরের শিশু মন্দিরে ঢুকে ছোটাছুটি করেছিল বলে তার বাবা-মাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ সেটা ছিল ৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনা৷ ঠিক তার দশদিন পর ওই মন্দিরে যান দলিত যুবক৷ তাঁকেও পড়তে হয় শাস্তির মুখে৷