বেঙ্গালুরু: বয়স তার মাত্র চার বছর। জন্মদিনে শখ হয়েছিল মন্দিরে যাওয়ার। সেই কারণে পাশের গ্রামের একটি মন্দিরে প্রবেশ করেছিল ওই নাবালক। সেই গ্রামটিতে আবার উচ্চবর্ণের ব্যক্তিদের বসবাস। যেখানে দলিতদের যাওয়া বারণ। আর সেই গ্রামের মন্দিরে ঢুকে গিয়েছে দলিত নাবালক!
ওই নাবালকের মন্দিরে প্রবেশের জন্য সালিশি সভা বসায় তথাকথিত উঁচু জাতের মানুষেরা। নাবালকের পরিবারের উপরে ধার্য করা হয় মোটা অঙ্কের জরিমানা। যার মোট পরিমাণ ৩৬ হাজার টাকা। যার মধ্যে ১১ হাজার টাকা খরচ করা হবে মন্দির সাফ করার জন্য। বাকি ২৫ হাজার নগদ টাকা যাবে উঁচু জাতের সমাজের মাথাদের কাছে।
কোনও মধ্যযুগীয় ঘটনার কাহিনী নয়। একবিংশ শতকের ভারতেই ঘটেছে এই ঘটনা। দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলার কুস্তাগি থানা এলাকার মিয়াপুরা গ্রামের ঘটনা এটি। দলিত শিশু জন্মদিনে মন্দিরে প্রবেশ করেছিল বলে তাঁর পরিবারের উপরে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মন্দির পরিষ্কার করার জন্যেও দাবি করা হয়েছে বিপুল অর্থ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় সমাজকর্মী বালাচন্দ্র কুস্তাগি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আসরে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পাঁচ অভিযুক্তকে। যাদের মধ্যে একজন ওই মন্দিরের পুরোহিত। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। একটা ভুলবোঝাবুঝির কারণে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।