ওয়েবডেস্ক- প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরু (Bengaluru Heavy Rain)। রবিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত, এখনও চলছে। ১২ ঘণ্টা ধরে চলা বৃষ্টিতে তছনছ বেঙ্গালুরু। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ৫০০ বাড়ি। ২০টি নদীর জল প্লাবিত। টনি এলাকার কয়েক ডজন রাস্তা জলের তলায়। আন্ডারপাসগুলিও জলের তলায়। উড়ালপুল গুলিতেও যান চলাচল স্তব্ধ। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলাচল ব্যাহত। বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি এলাকায় বেসরকারি বাস পরিষেবা স্তব্ধ।
মৌসম বিভাগ (IMD) কর্নাটকের (Karnatak) উপকূলবর্তী এলাকায় নিম্নচাপের (Low Pressure) পূর্বাভাস জারি করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা ৫। এদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তড়িদাহত হয়ে। একজনের মৃত্যু হয়েছে দেওয়াল চাপা পড়ে। রায়চুর এবং কারওয়ারে অপর দুজনের বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ শুনানি, দেখুন সরাসরি
প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরুর সাধারণ জীবনযাত্রা। মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। প্রবল বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট জলে থৈ থৈ করছে। আইএমডি জানিয়েছে, আপাতত বেঙ্গালুরুর আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হবে না। শহরের জন্য কমলা সতর্কতা (Orange Alert) ও গোটা কর্নাটকজুড়ে হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) জারি করেছে।
আবহাওয়া বিভাগের বেঙ্গালুরু কেন্দ্রের ডিরেক্টর এন পুভিয়ারাসু বলেছেন যে ৮ সেন্টিমিটার থেকে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) প্রভাবের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজও বেঙ্গালুরুর আকাশ মেঘলা থাকবে, বজ্রাঘাতে সহ ভারী বৃষ্টি চলবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আইএমডি আরও জানিয়েছে যে, কর্নাটক উপকূলের পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপর ২১ মে নাগাদ একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ মে নাগাদ একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে, সেটি ক্রমশ উত্তরের দিকে অগ্রসর হবে।
মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৬৩ বছরের মনমোহন কামাথ, ১২ বছরের দীনেশ, ৩৫ বছর বয়সি এক শশীকলা। তিনি IZMO তে হাউসকিপিংয়ের কাজ করতেন।
দেখুন আরও খবর-