কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সংসদে পাস হয়ে গেল অপরাধী সনাক্তকরণ বিল ২০২২ (Criminal Procedure Bill 2022)। বিরোধীরা যাকে বিতর্কিত বিল বলছেন। বিল পাসের ফলে এখন থেকে তদন্তকারী অফিসারেরা সংশোধনাগারে গিয়ে সাজাপ্রাপ্ত বা জেলবন্দিদের শরীর থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন। অপরাধীদের নাড়িনক্ষত্রের হিসাব রেকর্ড হিসেবে থেকে যাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে। নতুন এই বিল রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর একবার আইন হয়ে গেলে ১৯২০ সালের ‘জেলবন্দি সনাক্তকরণ আইন’-এর আর কোনও প্রয়োজন থাকবে না।
রাজ্যসভায় বুধবার ধ্বনি ভোটে পাস হয় ‘অপরাধী সনাক্তকরণ বিল’। বিরোধীরা এই বিলের খসড়াকে কঠোরতম হিসেবে দাবি করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি। এর আগে সোমবার ৪ এপ্রিল লোকসভায় বিলটি পাস হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিল পুলিস এবং তদন্তকারীদের সবসময় অপরাধীদের চাইতে কয়েক কদম এগিয়ে রাখবে।’
কী রয়েছে এই বিলে? কেন একে বিতর্কিত বলছেন বিরোধীরা? বিল একবার আইনে পরিণত হয়ে গেলে অপরাধীদের শরীরের যাবতীয় নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে পুলিস এবং তদন্তকারীরা। বায়ো-মেট্রিক তথ্য অর্থাৎ হাতের আঙুল ও করতলের ছাপ, পায়ের পাতার ছাপ, চোখের রেটিনার ছবি তো বটেই এমনকি অপরাধীর মনের গঠন জানতেও বেশ কিছু পরীক্ষা করার ছাড়পত্র রয়েছে এই বিলে। এ ছাড়াও সংগ্রহ করা যাবে রক্ত, কাফ, থুতু, এমনকি সিমেনও। অপরাধীর সই কেমন, তার প্যাটার্ন কেমন। হাতের লেখা কোন ধাঁচের সে সবেরও খুঁটিনাটি তথ্য রেকর্ড হিসেবে থাকবে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে।
আরও পড়ুন- Sharad Pawar: কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দরবারে শরদ পাওয়ার
কিন্তু রাজনৈতিক বন্দি বা অপরাধীদের ক্ষেত্রেও কি এই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে? এই প্রশ্ন উঠছে। অমিত শাহের জবাব, ‘একমাত্র দাগী এবং জঘন্যতম অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের জন্যই এই বিল। অপরাধী বা জেলবন্দিদের থেকে সংগৃহীত তথ্য পুলিস বা কোনও তদন্তকারী সংস্থার কাছে থাকবে না। তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে। অপরাধীদের নাড়ি-নক্ষত্রের যাবতীয় তথ্য সুরক্ষিত রাখতে দায়বদ্ধ থাকবে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো।’ সংসদে দাঁড়িয়ে এই আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।