ওয়েবডেস্ক- কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। রাত পোহালেই রবিবার ভারতের গবেষণা কেন্দ্র ইসরো (Isro) থেকে মহাকাশে পাড়ি দেবে সিএমএ-০৩। এই উপগ্রহের (Heaviest Communication Satellite) ওজন প্রায় ৪৪১০ কেজি। এর আগে এত বড় উপগ্রহ পাঠায়নি ইসরো। প্রস্তুতি সম্পূর্ণ শেষ, এখন শুধু মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা সিএমএ-০৩-এর (LVM3-M5) । ২ নভেম্বর সেই দিন স্থীর হয়েছে। চার হাজার কেজি বেশি ওজনের উপগ্রহকে উৎক্ষেপণ করবে বলে এই রকেটের ‘বাহুবলী’ (Babubali) রেখেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। রবিবার শ্রীহরিকোটা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে এই বিশাল ওজনের উপগ্রহ সিএমএস-০৩ উৎক্ষেপণ করা হবে।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের মাটি থেকে জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিট (জিটিও)-তে প্রতিস্থাপন করা হবে উপগ্রহটিকে। এলভিএম৩-এম৫ রকেটে করে মহাকাশে পাড়ি দেবে সে। চার হাজার কেজিরও বেশি ওজনের উপগ্রহকে উৎক্ষেপণ করবে বলে এই রকেটকে ‘বাহুবলী’ নাম দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ইসরো জানিয়েছে যে ৪৩.৫ মিটার লম্বা রকেটটি ২ নভেম্বর বিকেল ৫:২৬ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণের করা হবে। এলভিএম৩-এম৫ রকেট হল ইসরোর পঞ্চম সক্রিয় ফ্লাইট।
আরও পড়ুন- বিচারপতিদের প্রবীণ পদবী কবে থেকে কার্যকর? জানাল সুপ্রিম কোর্ট
এর আগে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর জিস্যাট-১১। এখনও পর্যন্ত ওটাই ছিল সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ। ফ্রেঞ্চ গুয়ানার কুরো থেকে ওই উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আরিয়ানে-৫ ভিএ-২৪৬ রকেটে চাপিয়ে। ওই জিস্যাট-১১-এর ওজন ছিল ৫,৮৫৪ কেজি।
ইসরো জানিয়েছে, রবিবার যে সিএমএস-০৩ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে, তা মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকার তথ্য দেবে। মহাকাশ সংস্থাটি এর আগে ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে ফরাসি গায়ানার কৌরো উৎক্ষেপণ ঘাঁটি থেকে আরিয়ান-৫ ভিএ-২৪৬ রকেটে করে তাদের সবচেয়ে ভারী যোগাযোগ উপগ্রহ জিএসএটি-১১ উৎক্ষেপণ করেছিল। ৫,৮৫৪ কেজি ওজনের, জিএসএটি-১১ এখনও ইসরো কর্তৃক নির্মিত সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ।
দেখুন আরও খবর-