করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছিল ভারত। দৈনিক আক্রান্ত বাড়তে বাড়তে ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে লকডাউন-নাইট কার্ফু শুরু হওয়ায় মাসখানেক ধরে সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। এর পাশাপাশি সুস্থতার হার যেমন বাড়ছে, তেমনই দৈনিক মৃত্যুও কমছে।
আরও পড়ুন: হু-এর নিশানায় করোনার নয়া স্ট্রেন
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৮ হাজার ৯৭৭ জন৷ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৪৭ জন। সুস্থতার হার ৯৬ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজারের বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আজকের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬২,৪৮০ জন৷ তার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৭৯৩। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৫৮৭ জনের৷ এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে কিছুটা কম। করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৯০৷
আরও পড়ুন: কৈলাস বিজয়বর্গীয় নামে গো ব্যাক পোস্টার কলকাতায়
মাসখানেক ধরে দেশে যতজন দৈনিক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তার থেকে বেশি রোগী রোজ সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর জেরে দেশে অ্যাকটিভ কেস ধারাবাহিকভাবে কমছে। এদিন নতুন করে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ২৮ হাজার। একমাস আগে দেশে সক্রিয় রোগী ছিল ৩৭ লক্ষের বেশি। এখন তা কমে ৮ লক্ষের নীচে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৭,৯৮,৬৫৬টি৷
অর্থাৎ, দেশে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৫৬ জন। মাস্ক-স্যানিটাইজার-শারীরিক দূরত্বের পাশাপাশি করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল গণ-টিকাকরণ। আপাতত দেশজুড়ে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের ২৬ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৯৯ জনের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।