কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে বিধি নিষেধ শিথিল হয়েছে অনেক রাজ্যে। উঠে গেছে লকডাউন। তার মানে এই নয় যে, করোনা আক্রান্ত হবে না কেউ। কিন্তু এই বিষয়টা বুঝতেই চাইছে না কিছু মানুষ। যার ফলে লকডাউন উঠতেই পার্টি, গেট টুগেদার করা কিংবা অনুষ্ঠান, করছেন তাঁরা। টিকাকরণও হয়ে গেছে অনেকের। তাহলে ভয় কী ? ভয় হল ছোটদের জন্য। ১৮ বছরের কম যাদের বয়স তাদের অনেকেই এখনও টিকা পায়নি। ফলে টিকা পেয়ে যাঁরা নিশ্চিন্তে অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের সংক্রমণ না হলেও এই সব অনুষ্ঠান থেকে ছোটদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই বিষয়টি নিয়েই বুধবার বক্তব্য রাখেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রভীন কুমার। করোনার তৃতীয় প্রবাহ ভারতে আছড়ে পড়তে পারে। যে কারণে আগে থেকে সাবধান হতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় প্রবাহে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে। যে কারণে ডাঃ প্রভীন কুমার অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ অভিভাবকরা যত বেশি এই সব অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, তাঁদের সন্তানদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়বে।
শুধু করোনা আক্রন্ত নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবেও অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়েছে শিশুরা। একটানা লকডাউনের ফলে তাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপরও পড়েছে কুপ্রভাব।
আরও পড়ুন : কোভিডে ভিড় এড়াতে বাড়ছে মেট্রো সংখ্যা
করোনা মহামারীর জেরে বন্ধ স্কুল কলেজ। যার ফলে ২০২০ সাল থেকেই বাড়ির বাইরে বেড়নো বন্ধ হয়েছে সাধারণ মানুষের। তার জায়গায় এসেছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অনলাইন ক্লাসের মত বিষয়গুলি। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থেকে মানসিক ভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত শিশুরা। দিনের পর দিন এভাবে ঘরবন্দি থাকার ফলে শিশুদের ওপর মানসিক এবং শারীরিক ভাবে প্রভাব পড়েছে। এর সঙ্গে আছে পারিবারিক চাপ। কোভিড পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক অফিস। চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। ফলে আর্থিক ভাবে অনেকটাই অসহায় এই সব পরিবারগুলি। যার প্রভাব পড়ছে এই পরিবারের ছোট সদস্যদের ওপরও। এই প্রভাবের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে শিশুদের ব্যবহারে। আনন্দ, দুঃখ, কিংবা রাগ, বিভিন্ন সময় শিশুরা তাদের এই অনুভুতিগুলি এক এক রকম ভেবে প্রকাশ করেছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কিছু বাচ্চা কোনও রকম অনুভূতি প্রকাশ করে না। আবার অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন, তাঁদের সন্তানরা বদমেজাজি হয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের ফলে ছোটদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে।
আরও পড়ুন : স্কুল ফি দিতে না পারায় বঞ্চিত শতাধিক পড়ুয়া