শিমলা: হিমাচল প্রদেশের উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ফল হয়েছে কংগ্রেসের৷ সেই সঙ্গে পাহাড়ি রাজ্যের উপনির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ উত্থানে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি৷ কংগ্রেসের কাছে তিনটি বিধানসভা আসনেই হেরেছে গেরুয়া শিবির৷ এমনকি হাতছাড়া হয়েছে মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রটি৷ সেখানেও সোনিয়া গান্ধীর দলের কাছে পরাজিত হয়েছে বিজেপি৷ এই লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির দখলেই ছিল৷ আসনটি ধরে রাখতে কার্গিল যুদ্ধের হিরো খুশল সিং ঠাকুরকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি৷ বিপরীতে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছিল রাজ্যের ছ’বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভাদেবীকে৷ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর সেখানে তিনি ১০ হাজারের সামান্য ভোটে জিতে যান৷
মঙ্গলবার দেশের ১৩টি রাজ্যের ৩টি লোকসভা এবং ২৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে চলে ভোট গণনা৷ তার মধ্যে ছিল হিমাচলের ফতেহপুর, আরকি এবং জুব্বল-কোটখাই কেন্দ্রগুলি৷ ওই তিনটির মধ্যে দু’টি আসনে কংগ্রেস-বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে৷ তবে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে কংগ্রেস৷ ওই তিনটি আসন ছাড়া মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রটি পকেটে পুড়ে নেয় সোনিয়া গান্ধীর দল৷ ওই কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রাম স্বরূপ শর্মার মার্চ মাসে আকস্মিক মৃত্যু হয়৷ তার জেরে খালি হয় আসনটি৷ বিজেপি সেখানে প্রার্থী করে ব্রিগেডিয়ার খুশল চাঁদ ঠাকুরকে৷ অন্যদিকে কংগ্রেস হয়ে ভোটে দাঁড়ান রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিং৷ ভোট গণনায় কখনও এগিয়ে কখনও পিছিয়ে থাকার পর শেষ পর্যন্ত প্রতিভাদেবী মান্ডিতে জয় হাসিল করেন৷
অপরদিকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফতেহপুর আসনে বিজেপির বলদেব ঠাকুরকে হারিয়ে ৫ হাজার ৭৮৯টি ভোটে জিতেছেন কংগ্রেসের ভবানী সিং পাঠানিয়া৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৪ হাজার ২৪৯টি৷ বিজেপির বলদেব ঠাকুর পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৭৮টি৷ আরকি কেন্দ্রে ৩ হাজার ২১৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন আর এক কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয়৷ তিনি হারিয়েছেন বিজেপির রতন সিং পালকে৷ অপরদিকে জুব্বল-কোটখাই কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী চেতন সিংকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের রোহিত ঠাকুর৷ তিনি জয়ী হয়েছেন ৬ হাজার ২৯৩টি ভোটে৷ এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নীলম সেরাইকের প্রাপ্ত ভোট মাত্র ২ হাজার ৬৪৪টি ভোট৷