নয়াদিল্লি: গান্ধী পরিবার নিয়ে মুখ খোলার জন্য কংগ্রেস সমর্থকদের রোষের মুখে পড়তে হল কপিল সিবালকে। ‘দল ছাড়ুন’, ‘সুস্থ হয়ে উঠুন’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। ভাঙচুর করা হয় সিবালের গাড়িও। সম্প্রতি পঞ্জাবে টালমাটাল পরিস্থিতি ও গোয়া ভাঙন নিয়ে মুখ খুলে ছিলেন সিবাল। তার জেরেই বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার সম্মুখীন হলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
সিবালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কংগ্রেস কর্মীরা
বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে পঞ্জাবে। নয়া মুখ্যমন্ত্রী পেলেও প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সিধুর ইস্তফার পর সে রাজ্যে পরিস্থিতি আরও জট পাকিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দলের বিপর্যয় রুখতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক প্রয়োজন। তিনি বলেন বর্তমানে কংগ্রেসে নির্বাচিত কোনও সভাপতি নেই। তাই কে সেই বৈঠক ডাকবেন তা নিয়ে তিনি নিজেই কিছু জানেন না।
আরও পড়ুন: টানা ৪৫ মিনিট ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ শেষে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে অমিত শাহ-অমরিন্দর সিং
এখানেই থেমে থাকেননি এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। স্পষ্ট বলেন, “ঘনিষ্ঠদের থেকে কোনরকম উপদেশ নিতে বহুবারই অনীহা দেখিয়েছে গান্ধী পরিবার। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে দলকে।”
পঞ্জাব ছাড়াও সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুস্মিতা দেব। বুধবার কলকাতায় তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুই ফ্যালিরো। এই দুই নেতার দল ছেড়ে চলে যাওয়া সোনিয়া-রাহুলদের কাছে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করেন তিনি। এছাড়াও রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলাট ও শচীন পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্বে ধরাশায়ী কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে হারাতেই আমরা তৃণমূলে যোগদান করেছি’ বললেন ফলেইরো
এমন পরিস্থিতি কেন হল? সেই প্রশ্নকে হাতিয়ার করেই সরব হয়েছিলেন সিবাল। কোথায় ঘাটতি থাকছে যার জন্য এই সমস্ত নেতাদের ধরে রাখা যাচ্ছে না । তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনার জন্য জায়গা নেই কেন দলে? সেইসঙ্গে স্পষ্টই প্রবীণ নেতা বলেন গান্ধী পরিবার যাদের কাছের লোক মনে করে তারাই দল ছেড়ে যায়। আর যারা ঘনিষ্ঠ নয় তারাই দলে থেকে যায়। এই মন্তব্য তিনি যে গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন সে বিষয়ে একমত রাজনৈতিক মহল।
কপিল সিবালের সমস্ত মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেস সমর্থকরা। যার প্রেক্ষিতে এবার হামলার মুখে পড়তে হল প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে।