ওয়েব ডেস্ক: পহেলগামে নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই জাতিগত জনগণনা (Caste Census) করার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সংসদে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং তাঁর দল কংগ্রেস (Congress) একাধিকবার এই জাতিগত জনগণনার দাবি তুলে এসেছেন। কাজেই কেন্দ্রের শাসকদলের এই ঘোষণায় রাহুলরা নিজেদের জয় দেখছেন। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন এই ইস্যুতে কতটা উদ্যোগী হয়েছে? ইতিহাস বলছে, তারাও জাতিগত জনগণনা নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামায়নি।
ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে বরাবর জাতিগত জনগণনাকে উপেক্ষা করে এসেছে। ফলে কোন বর্গের মানুষের জনসংখ্যা কত, কোন বর্গের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন তা বোঝার কোনও উপায়ই থাকেনি। জাতিগত গণনা শেষ রিপোর্ট ১৯৩১ সালে ব্রিটিশদের হাত ধরে সামনে এসেছিল। ১৯৪১ সালেও এই গণনা হয় কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জেরে তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: যা চান, তাই হবে, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে মন্তব্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
১৯৫১ সালে প্রথমবার জনগণনা করে কংগ্রেস সরকার। কিন্তু সেখানে জাতিগণনা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়। তার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন ধরে এই অতি-গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অবহেলিত ও উপেক্ষিত হয়ে এসেছে। এমন নয় যে পরিকাঠামো এবং আর্থিক দৈন্যের কারণে জাতগণনা হয়নি, কংগ্রেস তা করেনি ইচ্ছে করেই। ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি বার বার জাত সংক্রান্ত তথ্যের দাবি করে এসেছে, কিন্তু কংগ্রেস তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি।
বহুবার জাতিগণনার সুযোগ এসেছে কংগ্রেস সরকারের হাতে। কিন্তু কখনওই এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়নি। ২০১০ সালে কংগ্রেস সরকারের আইনমন্ত্রী এম বীরাপ্পা মোইলি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে ২০১১ সালের জনগণনায় জাতিভিত্তিক হিসেবও ঢোকানো হয়। সে আর্জি খারিজ হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাধারণ জনগণনাও হয়নি। নিয়মানুযায়ী ২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি।
দেখুন অন্য খবর: