উদয়পুর: বড়সড় সাংগঠনিক সংস্কারের পথে কংগ্রেস। দল এক পরিবার, এক টিকিট নীতি চালু করতে চলেছে। রাজস্থানের উদয়পুরে শুক্রবার শুরু হওয়া চিন্তন শিবিরে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এই নীতির বাইরে থাকবে গান্ধী পরিবার। দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন চিন্তন শিবির উদ্বোধনের আগে বলেন, এক পরিবার, এক টিকিট নীতিতে সকলেই একমত।
অজয় মাকেন জানান, কংগ্রেসের টিকিট পেতে হলে অন্তত পাঁচ বছর কাজ করতে হবে। তবে পরিবারের অন্য কোনও সদস্য যদি পাঁচ বছর কাজ করেন, সেক্ষেত্রে ছাড়ের সুযোগ থাকবে। দলে তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে বিভিন্ন কমিটিতে ৫০ বছরের কম বয়সিদের প্রাধান্য দেওয়ার প্রস্তাব হয়েছে। অন্তত ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, নয়া নীতির ব্যাপারে অধিকাংশ নেতাই সহমত পোষণ করেছেন। এখন থেকে কোনও নেতা পাঁচ বছরের বেশি সময় এক পদে থাকতে পারবেন না। তাঁকে পাঁচ বছর পর পদ ছাড়তেই হবে। তবে তিন বছরের কুলিং অফ পিরিয়ডের ব্যবস্থা থাকছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই কংগ্রেসের হাল খুব খারপ যাচ্ছে। সারা দেশেই কংগ্রেসের ভোট ক্রমশ কমছে। তারই মধ্যে গত দু-তিন বছরে বহু কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওই দলত্যাগীদের মধ্যে অনেক তরুণ নেতানেত্রীও রয়েছেন। একথা মাথায় রেখেই দল অপেক্ষাকৃত কম বয়সিদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে।
হঠাৎ কেন কংগ্রেস এক পরিবার, এক টিকিট নীতির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে তাবড় বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন। এর জন্য কংগ্রেসকে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। দলীয় সূত্রে খবর, পরিবার তন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই কংগ্রেসের এই উদ্যোগ। তবে বাস্তবে তা কতটা কার্যকর হবে, তা ভবিষ্যৎই বলবে। গান্ধী পরিবারকে এই নীতির বাইরে রাখা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সংবাদমাধ্যমের একাংশ অপপ্রচার চালাচ্ছে।