নয়াদিল্লি: সংসদে আলোচনা ছাড়াই বিল পাস করিয়েছে সরকার। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের এই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। পেগাসাস বা অন্যান্য ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের তাণ্ডবের অজুহাত দেখিয়ে প্রসঙ্গ এরিয়ে গিয়েছে সরকার। এই তাড়াহুড়োয় বিল পাস করানো নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উসকানিমূলক স্লোগান ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ
“উপযুক্ত আলোচনা বা বিতর্ক ছাড়া বিল পাস হয়ে যাচ্ছে আইন সভায়। দুই কক্ষে একাধিক আইনজীবী থাকতে এমন ঘটনা ঘটল কেন?” রবিবার সবাই যখন ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত তখন এই প্রশ্ন খুঁচিয়ে তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। পাস হওয়া বিল আইনে পরিণত হলে তার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- রাজ্যে কমল দৈনিক সংক্রমন, কমেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও
স্বাধীনতা দিবসের দিন দুই আগে শেষ হয়ে গিয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। ওই অধিবেশনের বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষ। যার কারণে সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছিল বলে দাবি করে সরকার। সংসদ অচল রাখার জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলা হয়। যদিও পালটা বিরোধী শিবিরের দাবি, সরকার সংসদ চালাতে চায়নি। সেই কারণেঈ বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের দিন জুতো পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
এই সকল বিতর্ক সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেছেন, “পাস হওয়া আইনের কোনও স্বচ্ছতা নেই। কেন ওই আইন পাস করা হল তা আমরা এউ জানি না। দুই কক্ষে বুদ্ধিজিবী এবং আইনজীবী থাকতেও এমন হল। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষতি।” এই ধরণের ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং সংসদে সর্বদা গঠনমূলক আলোচনা হওয়া উচিত বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি।
দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “একটা দেশের ইতিহাস লেখার পক্ষে ৭৫ বছর কিছু কম সময় নয়। আমরা ছোটবেলায় এই দিনে পতাকা হাতে স্কুলে যেতাম। অনেক উন্নয়নের কথা শুনেছি এই দিনে। কিন্তু এখনও আমরা সুখী হতে পারলাম না। এখনও অনেক মানুষ অনাহারে থাকে। এই মুহূর্তে অনাহারে থাকা মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে।” সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সংসদ অচল থাকা নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধী শিবিরকে।