আগরতলা: করোনা পরিস্থিতির জেরে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে ত্রিপুরায়। এবার সেই কারফিউ উপেক্ষা করেই শুক্রবার আগরতলায় জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। অনুষ্ঠানের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় ত্রিপুরার রাজনীতি। ১৪৪ ধারার কারনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সফর বাতিল হয়েছে। সেখানে কী করে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করলেন? ভিডিওসহ এই অভিযোগ নিয়ে মুখ্যসচিবের দ্বারস্থ হল ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী হলে জনসভা করেন বিপ্লব দেব। আয়োজিত জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ৫০০ জন। কারফিউ পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের কর্মসূচি ফের রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত উস্কে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে ত্রিপুরা সফরের কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু ঠিক তার আগেই রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে বিপ্লব দেব সরকার। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ত্রিপুরা সফর বাতিল করেন অভিষেক। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল কর্মসূচির কথা ত্রিপুরা প্রশাসনকে জানানো সত্বেও বারবার তা বাধা দিচ্ছে বিপ্লব দেব প্রশাসন। ত্রিপুরাতে কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: মিঠুন মামলার শুনানিতে অভিনেতার ডায়লগ শুনেই হাসির রোল হাইকোর্টের এজলাসে
এমন কারফিউ পরিস্থিতিতে কর্মসূচি পালন করলে দলীয় কর্মীদের হেনস্থা কিংবা ভুয়ো মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অযথা বিতর্ক এড়াতে কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসেই ত্রিপুরায় গিয়ে পুলিশের হাতে হেনস্তা হতে হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বকে। নাইট কার্ফু কারফিউ ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করে তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল খোয়াই থানায়। পরিস্থিতি সামলাতে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে আহত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়ান তিনি। ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় সংসদের বাদল অধিবেশনেও সরব হয়েছিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়কও তৃণমূলে? নামের সাইনবোর্ড খুলতেই শুরু গুঞ্জন
এবার বিপ্লব দেব প্রশাসনের এই ‘দ্বিমুখী আচরনে’ ত্রিপুরায় শাসক-বিরোধী সংঘাত নতুন মাত্রা পেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।