ছত্তিশগড়: প্লাস্টিকে মুড়ে নিজের সন্তানের দেহ নিয়ে গেলেন বাবা। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ঘটনাটি চত্তিশগড়ের কোরবা জেলার। জানা গিয়েছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দেড় বছরের শিশু সন্তানের। ময়নাতদন্তের জন্য দরকার একটি অ্যাম্বুলেন্সের। আশপাশের হাসপাতালে গিয়েছিলেন অসহায় বাবা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য৷ কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, অ্যাম্বুলেন্স নেই তাদের কাছে। অগত্যা মৃত খুদের দেহ নিজেই হাসপাতালে নিয়ে গেলেন অসহায় বাবা৷
কোরবা আড়সেনা গ্রামের বাসিন্দা দরস রাম যাদব। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং শিশু সন্তান নিয়ে চাষবাস করে দিন গুজরান করেন। এদিকে চাষের জন্য দরসের স্ত্রী তাঁদের দেড় বছরের সন্তানকে নিয়েই খামারে যান। জানা গিয়েছে, দরসের স্ত্রী চাষে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর তখনই খেলতে খেলতে ওই খুদে পড়ে যায় খামারের পাশের একটি নদীতে।
আরও পড়ুন: চাষের জমি থেকে উদ্ধার মহিলার গলাকাটা দেহ, শুরু তদন্ত
স্থানীয়রা এসে খোঁজাখুজি শুরু করে দরসের স্ত্রী সঙ্গে। পুকুরে নেমে তল্লাশি চালানর পর উদ্ধার করা হয় ওই খুদের দেহ।স্থানীয় সূত্রের খবর, যেই সময় ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয় পুকুর থেকে, সেই সময় ওই শিশুর কোনও জ্ঞান ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র লেমরুতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিশুকে। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, শিশুটির ময়নাতদন্ত করানোর জন্যও।
জেলা সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিতি আড়সেনা গ্রাম। দরস স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানায়, এক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা করে দেওয়ার জন্য। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, অ্যাম্বুলেন্স নেই। একদিকে নিজের সন্তানের মৃতদেহ, অন্যদিকে ময়নাতদন্তের চাপ। অসহায় বাবা কোনও পথ না পেয়ে, অবশেষে বাধ্য হয়ে প্লাস্টিকে মুড়ে বাইকে করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার কথা জানতে পারে মেডিক্যাল আধিকারিকরা। জেলা সিএমএইচও এসএন কেশরি জানিয়েছেন, পুরোও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কর্তব্যরত দোষী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।