নয়াদিল্লি: গমগম করছিল রোহিণীর আদালত চত্বর ৷ কালো কালো মাথা আর কালো পোশাকের লোকগুলো যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন ৷ ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে আদালতে হাজির করানো হয় জিতেন্দর গোগীকে ৷ শুরু হয় শুনানি ৷ চলছিল সওয়াল-জবাব ৷ ঠিক তখনই কিছু বুঝে ওঠার আগেই কালো পোশাকের লোকগুলো গুলি চালাতে শুরু করে ৷ নিশানায় পুলিশ আর আইনজীবীরা ৷
শুরু হয় দিগভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি ৷ আদালতের ২০৭ কক্ষ থেকে বাইরে আসার মরিয়া চেষ্টা ৷ আর অন্যদিকে বাইরে থেকে সবাইকে সরিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টায় নিরাপত্তা রক্ষী-পুলিশকর্মীরা ৷ তখন ভিতর থেকে নাগাড়ে গুলি চালিয়ে চলছে জনা কয়েক গ্যাংস্টার ৷ যারা কালো কোটের আড়ালে বন্দুক-পিস্তল লুকিয়ে ঢুকেছিল আদালতে ৷ প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এরা সকলেই টিল্লু দলের শাগরেদ ৷ যারা এসেছিল তাদের গুরু জিতেন্দরকে পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করতে ৷ এ বছরের শুরুর দিকে দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল এই জিতেন্দর ৷ বছর তিরিশের জিতেন্দর ২০১০ সাল থেকে দিল্লিতে ত্রাসের সঞ্চার করেছে ৷ প্রথম বার ২০১১ সালে একটি খুন করে গ্রেফতার হয় ৷ পরে মুক্তি পেলেও খুন-তোলাবাজি চালিয়ে যেতে থাকে গোগী এবং তার দলবল ৷ ২০১৮ সালে ফের এফআইআর ৷
আরও পড়ুন: দিল্লির কোর্টরুমে গ্যাংস্টারদের এলোপাথাড়ি গুলি, কুখ্যাত ডন গোগী নিহত
আজ জিতেন্দরকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল ৷ সেই মতো ব্যবস্থারও করা হয়েছিল ৷ আজই ছিল শুনানির দিন ৷ কিন্তু, দিল্লির পুলিশের গোয়েন্দারা একটি বারের জন্যও আঁচ করতে পারেননি, উকিলের পোশাকে হাজির থাকবে জিতেন্দর সঙ্গীরাও ৷
বেলা তখন একটা হবে ৷ ‘গুরু’ জিতেন্দকে ২০৭ নম্বর ঘরে নিয়ে ঢোকেন রক্ষীরা ৷ শুরু হয় শুনানি ৷ ঠিক তখনই শুরু মুহুর্মুহু গুলি ৷ না না করে প্রায় ৩০ রাউন্ডের মতো গুলি চলে ৷ প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ‘প্রত্যাঘাত’ শুরু করে পুলিশও ৷ পুলিশের গুলিতেই লুটিয়ে পড়ে নীল জামার পরা গোগী ৷ খতম হয় তার আরও দুই সঙ্গীও ৷ জখম হয় আরও কয়েক জনও ৷