ওয়েব ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে লাগাতার চলছে মাওবাদী নেতাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনীর তাড়া খেয়ে এবার মাওবাদীরা যেন পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে না পারে, সেই কারণে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)।
গত কয়েকদিন ধরে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh)বিজাপুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর (security forces) গুলিতে খতম হয় শীর্ষ মাও নেতা থেকে মাও কমান্ডারদের(Mao commanders)। একসময় মাওবাদীদের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ। সেইকারণে, ছত্তিশগড় বা তেলেঙ্গানা থেকে মাওবাদীরা গা ঢাকা দিতে এ রাজ্যে চলে আসতে পারেন বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। যদিও, ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পলাতক মাওবাদী নেতাদের বাড়িতে নোটিশ পাঠানও হবে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে ৫০০ টাকার নোট কি মূল্য হারাবে?
জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগেই জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের কেস নম্বর উল্লেখ করে নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গলমহলে বাড়তি নজরদারিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বর্তমানে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। এই পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে মাওবাদীরা যাতে সংগঠনকে মজবুত করতে না পারে, সেজন্য রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, একসময় অস্ত্র এবং অর্থের নিয়মিত আদানপ্রদান চলত বস্তার ও এরাজ্যের মধ্যে। বছর দু’য়েক আগে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৫টি একে-৪৭ বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। নম্বর মিলিয়ে দেখা যায় তার মধ্যে একটি ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিলদা ক্যাম্প থেকে লুট করা আগ্নেয়াস্ত্র। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত জঙ্গলের মধ্য দিয়ে এ রাজ্য থেকে ছত্তিশগড়ে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের স্কোয়াড সদস্যদের। সে সময়ে একাধিক সেন্ট্রাল কমিটির নেতা লালগড়েও এসেছেন। যার ফলে অনুমান করা হচ্ছে, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া তাদের হাতের তালুর মত চেনা। সেই কারণে মাও নেতাদের ছবি পাঠানো হয়েছে একাধিক রাজ্যকে। এবং বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর