নয়াদিল্লি: বাড়িতে বসেই হাতের সামনে সমস্ত জিনিস হাজির করে দেয় অনলাইন শপিং (Online Shopping) অ্যাপ (App)। জামা-কাপড় থেকে রান্নার জিনিস। এমনকী, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রগুলিও (Medicine) অনেক দিন ধরেই অনলাইনের (Online) বাজার পেয়েছে। কিন্তু এবার অনলাইনে (Online) ওষুধ বিক্রির বা কেনার সুযোগ সুবিধা বন্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র। শোনা যাচ্ছে ই-ফার্মাসি (E-Pharmacy) বন্ধ করে দিতে পারে কেন্দ্র।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনলাইনে ওষুধ বিক্রি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আবার টাটা ১এমজি (Tata 1Mg), আমাজন (Amazon), ফ্লিপকার্ট (Flipkart), নেটমেডস (Netmeds), মেডিবাডি (MediBuddy), ফ্র্যাঙ্করোস (Frankross), অ্যাপোলো (Apollo)-সহ মোট ২০টি ই-কমার্স সাইটকে ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিস ধরিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)। কিন্তু কেন এই অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে?
আরও পড়ুন: Zwigato Box Office Collection | ২দিনে বক্সঅফিসে কেমন আয় করল কপিল শর্মার ‘জুইগাটো’
জানা যাচ্ছে, নালিন বা ই-কমার্সে ওষুধ বিক্রির আলাদা করে লাইসেন্স লাগছে না। যার ফলে ওষুদের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে। যা গ্রাহকের জন্য বিপদজনক। সেই কারণেই শোকজ নোটিশ দিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হচ্ছে, অনলাইন এমন কিছু কিছু ওষুধ বিক্রি হয়, যা খোলা বাজারে খুব সহজে পাওয়া যায় না।
কোনও রকম নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অসংগঠিত ভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে এই ই-কমার্স সাইটগুলি। শুধু তাই নয়, লাইসেন্স ছাড়া মেডিক্যাল সরঞ্জামও বিক্রি করা হচ্ছে। তাই অনলাইনে ওষুধের ব্যবসা করতে হলে সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া আবশ্যক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সঠিক। সেরকম হলে কয়েক বছর পরে নিয়ম মেনে ফের তা শুরু করা যেতে পারে। কেন্দ্রের এই নোটিসে এবার ই-কমার্স সাইটগুলি কী প্রতিক্রিয়া দেয় সেটাই দেখার।