নয়াদিল্লি: বর্তমানের ইন্টারনেট-ভিত্তিক যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার (Social media influencers) নামটি ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে, যাদেরকে অনেক মানুষ অনুসরণ করে। শহর ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলে ও এখন ইউটিউবার বা ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে পাওয়া যায়। এই সকল ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের পেজ বা চ্যানেল মনিটাইজ করে অর্থ উপার্জন করেছে। ২০ জানুয়ারি ভারত সরকার কনসিউমার অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক (Consumer Affairs Ministry) একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, সোশ্য়াল মিডিয়ার গাইডলাইন লঙ্ঘন করলে সেই অপরাধীদের ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। যদি সেই অপরাধী বারংবার সেই সামী লঙ্ঘন করে তাহলে জরিমানার পরিমান ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রি ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের (Social media influencers) জন্য নতুন নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ এই নতুন গাইডলাইনের অধীনে, প্রত্যেক ইনফ্লুয়েন্সারকে নিজেদের ফলোয়ারদের কাছে ঘোষণা করতে হবে যে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইগুলিতে পোস্ট করা ভিডিও বা ছবিতে দেখানো প্রোডাক্টের প্রচারের জন্য অর্থ পেয়েছেন। আর যদি এই নিয়মের অবমাননা করা হয়, তবে বিনা ঘোষণায় কোনও পণ্যের পেইড প্রমোশন করার জন্য সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
আরও পড়ুন:WhatsApp: খুব তাড়াতাড়ি বড় বদল আসছে হোয়াটসঅ্যাপে, দরকার লাগবে না ইমেইল করার!
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শুধুমাত্র রোজগারের লোভে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারা, পোস্ট বা ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করা প্রোডাক্টগুলিকে অনেক সময় নিজেরা ব্যবহার না করেই ভালো রিভিউ দিয়ে থাকেন। একইসঙ্গে মানুষকে তা কেনার জন্য পরামর্শ দেন। এর ফলে অনেকেই সেই প্রোডাক্ট ব্যবহারও করে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে একটি প্রোডাক্টের গুনাগুন পরীক্ষা না করেই তা ব্যবহারের ফলে যে কোনও প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই, এই ধরনের ঘটনার কতা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।