ওয়েবডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ (India Pakistan Tension) হলে ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (MS Dhoni) কি যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা যাবে? তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন কুল ভারতের টেরিটোরিয়াল আর্মির (Territorial Army) সদস্য। ভারত সরকার টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ব্যবহার করবার জন্য বিশেষ ক্ষমতা দিল সেনা প্রধানকে (Chief of Army Staff) জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে প্রায় ৫০ হাজার সদস্যের টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ব্যবহার করতে পারবে সেনা। নাগরিকরা এই টেরিটোরিয়াল আর্মির মাধ্যমে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের সেবা করবার সুযোগ পান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জানানো হয়েছে, এবার সেনা প্রধান টেরিটোরিয়াল আর্মির যে কোনও অফিসার, নথিভক্ত থাকা প্রত্যককে রেগুলার আর্মিকে সহায়তার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। সাউদার্ন কমান্ড, ইস্টার্ন কমান্ড, ওয়েস্টার্ন কমান্ড, সেন্ট্রাল কমান্ড, নর্দার্ন কমান্ড, সাউথ ওয়েস্টার্ন কমান্ড, আন্দামান নিকোবর কমান্ড, আর্মি ট্রেনিং কমান্ডে কাজে লাগানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঝুপড়িবাসীদের ঘরছাড়া করা ডেপুটি কালেক্টরকে বড় শাস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুদের স্মৃতি বিজড়িত এই টেরিটোরিয়াল আর্মি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্য ছিলেন নেতাজি। যা তাঁকে পরবর্তীতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি গড়তে সাহায্য করেছিল।
পহেলগাম হামলার জবাবে অপারেশন সিঁদুরে প্রত্যাঘাত ভারতের। পাকিস্তান একাধিক মিসাইল ও ড্রোন দিয়ে ভারতে হামলার চেষ্টা করেছে। ভারতের সুদর্শন চক্র পাক অপচেষ্টাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ক্রমশ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ঘোষিত যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী বলে অনেকেই মনে করছেন। সেই আবহে এবার টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ব্যবহারের ক্ষমতা সেনাকে। এর আগের যুদ্ধেও টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ব্যবহারের নজির রয়েছে। বর্তমানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে রয়েছেন। এমএস ধোনি, রাজনীতিবিদ সচিন পাইল, অনুরাগ ঠাকুর তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
দেখুন অন্য খবর: