নয়াদিল্লি: ভারতের ট্রেলারেই থরথর কাঁপছে ইসলামাবাদ। ভারতের প্রবল পরাক্রমের মুখে পরে যুদ্ধ থামানোর আর্জিু জানিয়ে ভারতকে ফোনে মিনতি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের আর্তনাদের পরই সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করল ভারত। সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি ভারত-পাকিস্তান, প্রথম জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সংঘর্ষবিরতির খবর দেন ট্রাম্প। হ্যাঁ ভারতের প্রত্যাঘাতে রীতিমতো দিশেহারা পাকিস্তান। পাকিস্তানের আর্তনাদে মার্কিন হস্তক্ষেপ। রাতভর আলোচনার পরে সংঘর্ষবিরতিতে ২ দেশ রাজি।
বিনা প্ররোচনায় ভারতের একাধিক ধর্মীয় স্থান, হাসপাতাল, স্কুল, এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পুঞ্চ, রাজৌরি, জম্মু, রাজস্থান, এমৃতসরে ৩০০-৪০০ ড্রোন হামলা করেছে ভারত। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানে ৮ টি এয়ারবেস, ড্রোন চঞ্চপেড, অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করেছে ভারত। এমনকী সীমান্তে গোলাগুলি চালিয়েছে পাকসেনা। পাকিস্তান যে হামলা করছে, তারই জবাব দিচ্ছে ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতে কুপকাত পাক সেনা। তারপরে ভারতকে শান্ত করতে আমেরিকার হস্তক্ষেপের অনুরোধে পাকিস্তানের। সেই অনুরোধে মার্কিন হস্তক্ষেপ। মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো শনিবার যুদ্ধবিরতি কথা জানিয়ে এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘‘ভান্স (মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং আমি গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শাহবাজ শরিফ, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং আসিম মালিক (আইএসআই প্রধান)-সহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের খেল খতম ….. কান্না আর আর্তনাদে, সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি ভারত
ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে লাগাতার ড্রোন হামলা, গোলাবর্ষণ এবং উত্তেজনার কারণে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ার পর সংঘর্ষ বিরতির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্স পোস্টে দাবি করেন, আমেরিকার মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনার পর, আমি আনন্দের ঘোষণা করছি, যে ভারত এবং পাকিস্তান অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’ ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘বাস্তবজ্ঞান এবং অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন। সংঘর্ষ বিরতির দাবি ট্রাম্পের এখন আশা করা হচ্ছে যে সীমান্তে শান্তি ফিরবে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে আরও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই যুদ্ধবিরতি কি ভারতের বড় রকমের সামরিক ও কূটনৈতিক জয়? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কূটনীতিকদের একটা অংশের মতে, অবশ্যই এটা নয়াদিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়।
অন্য খবর দেখুন