কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: টাক নিয়ে আর ঠাট্টা (Bald Harassment) বা টিটকিরি মারা নয়। চুল পড়ে যাওয়া মস্ত টাকের মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা-ইয়ার্কি এখন থেকে যৌন হেনস্থার সমান। শুধু যৌন হেনস্থাই নয়, কোনও মহিলার স্তনের আকার নিয়ে মন্তব্য যেমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এক্ষেত্রেও একইরকম। আদালতের বক্তব্য, টাকের সমস্যা নারীদের তুলনায় পুরুষদেরই বেশি। তাই টাক নিয়ে কটূক্তি করার পিছনে রয়েছে লিঙ্গচেতনা।
আমাদের দেশে টাকের সমস্যা নিয়ে কমবেশি বহু মানুষই ভুক্তভোগী। ‘টাকলা’ সম্বোধনে বা আরও কোনও খারাপ মন্তব্য করে তাঁদের কটূক্তিও করে থাকেন অনেকে। অনেকে এটাকে সহজভাবে নেন। অনেকে ভিতরের হতাশা বা রাগ বা অন্য কোনও অনুভূতি চেপে রাখেন। অনেকে আবার সরাসরি প্রতিবাদ করেন। টাক নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা হয়ত আমাদের সমাজে চলে। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি মামলায় এ নিয়ে নজিরবিহীন রায় দিয়েছে আদালত।
তবে টাক নিয়ে মামলাটি এ দেশের নয়, ব্রিটিশ এক আদালতের। মামলাকারী টনি ফিন। আদালতে দাবি করেন কর্মরত অবস্থায় অফিসের সুপারভাইজার টনিকে যৌন হেনস্থা করেছেন। টাক নিয়ে নোংরা কটূক্তি করেছেন। তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল টনির বক্তব্য জানার পর তাঁদের রায় ঘোষণা করেন।
Calling a man ‘bald’ is sex harassment and equivalent to commenting on a woman's breasts, employment tribunal rules https://t.co/KCJPPigfAa
— Daily Mail Online (@MailOnline) May 12, 2022
নজিরবিহীন ভাবে ব্রিটিশ ওই আদালত টাক নিয়ে কটূক্তির সঙ্গে নারীর স্তনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। আদালত জানায়, নারীর স্তনের আকার নিয়ে টিটকিরি করলে যেমন তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়, এ ক্ষেত্রে টনি ফিনও সেই একই আক্রমণের শিকার।