ওয়েব ডেস্ক: ২০২৫-২৬ সালের খারিফ শস্যের জন্য ২ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকার এমএসপি (MSP) বা ন্যূনতম সহয়াক মূল্য ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অর্থনীতি বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই এমএসপিতে কৃষকদের চাষের খরচের অন্তত ৫০ শতাংশ লাভ থাকবে। এর আওতায় রয়েছে ধান, ভুট্টা, তৈলবীজ, দানাশস্য, সুতো। কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এদিন জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা ধানে কুইন্টালে ৬৯ টাকা এমএসপি বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে ২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে ধানের দাম হবে প্রতি কুইন্টালে ২৩৬৯ টাকা। ‘নাইজেরসিডে (Nigerseed)’ প্রতি কুইন্টালে ৮২০ ও রাগিতে ৫৯৬ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। সুতোতে (Cotton) ৫৮৯ টাকা, সেসামামে (Sesamum) ৫৮৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বলা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে সারা ভারতের গড় খরচের দেড় গুণ এমএসপির ঘোষণাকে লক্ষ্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
তালিকা
ধানে প্রতি কুইন্টালে এমএসপি ২৩৬৯ টাকা।
ভুট্টায় প্রতি কুইন্টালে এমএসপি ২৪০০ টাকা।
মুগডালে ৮ হাজার ৭৬৮ টাকা প্রতি কুইন্টাল।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে আতঙ্ক, সেদিনই সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব পাকিস্তানের!
খরিফ মরশুমে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৬.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা এমএসপি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গড়ে এবার যা তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। রবি মরশুমে ৭.২১ লক্ষ কোটি টাকার এমএসপি দেওয়া হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। তাতে আড়াই গুণ বাডা়নো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেয় ২৩টি শস্যে। যার মধ্যে ১৪টি খারিফ শস্য। সাতটি রবি শস্য। এছাড়া দুটি বাণিজ্যিক শস্য।সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বুলেটিনে দাবি করেছে, গম ছাড়া বেশিরভাগ শস্যর গড় কিষাণ মাণ্ডির দর এমএসপির নীচে। তার কারণ খরিফ ও রবি মরশুমে প্রচুর ফসল উতপাদন হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী দেড় বছরের মধ্যে ৯টি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ফসলে এমএসপির দাবিতে পঞ্জাব-হরিয়ানার সীমান্তে কৃষকরা দীর্ঘ আন্দোলন করেছেন দফায় দফায়। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। কারণ প্রায় প্রতি বছরই এমএসপির ঘোষণা হয়। তবে সম্প্রতি এতটা বাড়েনি।
দেখুন অন্য খবর: