ওয়েবডেস্ক- কী অদ্ভূত নেশা! টার্গেট ছিল ট্যাক্সি চালকেরা (Taxi Driver Murder)। গাড়ি উঠেই ট্যাক্সি চালকদের সঙ্গে ভাব জমাত, তার পর ভুলিয়ে ভালিয়ে গাড়িটি খাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হত। বেছে নেওয়া হত নির্জন স্থান। এবার শুধু অপেক্ষা সুযোগের। তারপরেই আসল খেলা! ট্যাক্সিচালককে খুন করে গাড়ি পাচার করে দেওয়া হত। দীর্ঘ ২৪ বছর পর নেপাল (Arrest Nepal) থেকে সিরিয়াল কিলার (Serial Killer) অজয় লাম্বাকে (Ajay Lamba) গ্রেফতার করল পুলিশ।
৪৮ বছর বয়সী এই কুখ্যাত অপরাধীর বিরুদ্ধে হত্যা সহ ডাকারির কেস রয়েছে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ (Delhi Police Crime Branch) সেই কুখ্যাত অপরাধীকে পাকরাও করল। ২০০১ সালের চারটি নৃশংস খুন-ডাকাতি মামলায় ওয়ান্টেড এই অজয় লাম্বা। দীর্ঘ দিন ধরেই দিল্লি পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছিল, অবশেষে গ্রেফতার।
পুলিশ সূত্রে খবর, লাম্বার কাছে সহযোগী ছিল তার বন্ধুরাও। দিল্লি ও তার আশেপাশের রাজ্যগুলি থেকে ট্যাক্সি ভাড়া করত। উত্তরাখণ্ডের দিকে যেত তারা। এর পরেই শান্ত মাথায় পরিকল্পনা মাফিক খুন। চুরি যাওয়া যানবাহনগুলি সীমান্ত পেরিয়ে নেপালে বিক্রি করা হত।
আরও পড়ুন- গাড়ি থেকে বার করে মার! হরিদ্বারে মুসলিম পরিবারকে চরম হেনস্থা
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আদিত্য গৌতম (Deputy Commissioner of Police Aditya Gautam) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত, একজন কুখ্যাত সেইসঙ্গে খুনি, ২০০১ সালে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড জুড়ে ক্যাব চালকদের লক্ষ্য করে চারটি নৃশংস ডাকাতি-সহ-খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নেপালে বসবাস পরে, পরিবারের সঙ্গে দেরাদুনে স্থায়ী হয় অজয় লাম্বা। ২০২০ সাল মাদক সরবরাহ করে।
ওড়িশা থেকে দিল্লি এবং ভারতের অন্যান্য অংশে মাদক সরবরাহ করত। ২০২১ সালে দিল্লিতে একটি এনডিপিএস মামলায় এবং পরে ২০২৪ সালে ওড়িশার বহরমপুরে একটি গয়নার দোকান ডাকাতির ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুটি মামলাতেই জামিনে ছিল সে। লাম্বার আরও দুই সহযোগী ধীরেন্দ্র ও দিলীপ নেগিকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত চার চালকের মধ্যে পুলিশ একজনের দেহ উদ্ধার করে।
দেখুন আরো খবর-