নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act) ২০১৯ সালে আনা হয়েছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই সিএএ-র (CAA) নিয়ম কানুন জানিয়ে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এ মাসের গোড়াতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের আগেই সিএএ বলবত হবে এবং সেই সংক্রান্ত নিয়মবিধি জারি করা হবে।
অমিত শাহ বলেন, “সিএএ-র বিরুদ্ধে আমাদের মুসলিম ভাইদের ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সিএএ শুধুমাত্র তাঁদের জন্য যাঁরা অত্যাচারিত হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। এই আইন কারও ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।”
আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশে ক্রস ভোটিং
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে সিএএ বিল পাশ হয়েছিল। সেই সময় থেকেই দেশজুড়ে বিতর্কের আগুন জ্বলেছে। তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও দিল্লির শাহিনবাগে (Shahinbagh) দিনের পর দিন, রাতের পর রাত অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল অসমের গুয়াহাটিতেও (Guwahati)। কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশ স্তিমিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১১)
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনকে সংশোধন করে নতুন আইন আনে বিজেপি সরকার। এই আইনের বলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কিংবা তার আগে ভারতে আসা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হওয়া হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের দ্রুত ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। তবে এই আইন পাশ হওয়ার পর চার বছর কেটে গেলেও তা বলবত করা যায়নি। কারণ তার নিয়মবিধি এবং পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়নি।
দেখুন অন্য খবর: