ওয়েবডেস্ক: ৯ দিন পার। স্বামীকে না পেয়ে খালি হাতেই ঘরে ফিরলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউয়ের (BSF Jawan Purnam Kumar Shaw) স্ত্রী। স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে ভাই, বোন ও নিজের ছোট ৮ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল পাঠানকোটে (Pathankot) রওনা দিয়েছিলেন জওয়ান পূর্ণমের স্ত্রী রজনী (Rajani)।
গত বুধবার ২৩ তারিখ পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন রিষড়ার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। বিএসএফ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলেন পূর্ণমের পরিবার। বিএসএফ জওয়ানরা তাদের রিষড়ার বাড়িতে এসেও জওয়ান খুব শীঘ্রই বাড়িতে ফিরে আসবেন বলা আশ্বাসও দেন।
কিন্তু স্বামীর চিন্তায় পাঠানকোটে রওনা দেন পূর্ণমের ছয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ। প্রথমে ট্রেনে যাওয়ার ঠিক থাকলেও রজনীর শারীরিক ধকলের কথা চিন্তা করে বিমানে করেও রওনা হন তারা। প্রথমে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নেমে প্রথমে পাঠানকোট, তারপর কাংড়াতে যান তারা। সেখানেই বিএসএফের সিইও এর সঙ্গে কথা বলেন রজনীর পরিবার। এর পর আজ অমৃতসর থেকে দমদম বিমানবন্দর হয়ে বাড়ি ফিরলেন রজনীরা। দমদম এয়ারপোর্ট থেকে বিএসএফ এর গাড়িতে করে পুর্নমের পরিবারদের রিষরার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের কড়া পদক্ষেপ ভারতের
পূর্ণমের স্ত্রী রজনী বলেন, ‘আমরা বিএসএফ এর সিও র কথা বলেছি। আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। সেই ভরসা নিয়েই ফিরছে। তারা জানিয়েছেন, স্বামী ফিরে আসবে, সেই ভরসা নিয়েই ফিরেছি।
পঞ্জাবের পাঠানকোটের ফিরোজপুরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ। হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা তিনি। বুধবার দুপুরে কাঁটাতারের বাইরে থাকা ভারতীয় অংশে ফসল কাটতে যাওয়া ভারতীয় কৃষকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক ক্লান্তির কারণে ভুলবশত পাক সীমান্তে ঢুকে একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেই সময় পাক রেঞ্জার্সের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। পূর্ণমের ফেরানোর প্রশ্নে একাধিকবার ফ্ল্যাগ অফ বৈঠকে বসে ভারত পাকিস্তান। কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।
দেখুন আরও খবর: