মুম্বই: সাম্প্রদায়িক সমস্যা ভারতের মাটিতে নতুন নয়। স্বাধীন ভারতে এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হিংসা ছড়িয়েছে। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আর এই সকল ঘটনার জন্য ব্রিটিশদের কাঠগড়ায় তুলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভগবত। ইংরেজদের জন্যেই ভারতের মাটিতে ধর্মীয় বিভাজন ঘটেছিল এবন যা এখনও থেকে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহের সোমবার মুম্বই শহরে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সঙ্ঘ প্রধান। সেই অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘রাষ্ট্রপ্রথম – রাষ্ট্র সর্বোপরি’। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভগবত দাবি করেছেন যে ভারতে হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ স্পষ্টই করে গিয়েছে ইংরেজরা। এদেশের মানুষেরা যাতে সমস্যার মধ্যে থাকে সেটাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- বৃষ্টির দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে মধ্যপ্রদেশের এই গ্রামে নগ্ন হতে হয় নাবালিকাদের
মোহন ভগবত বলেছেন, “ব্রিটিশরা মুসলিমদের বুঝিয়েছিল যে হিন্দুদের সঙ্গে একই দেশে থাকলে তাঁরা কিছুই পাবে না। হিন্দুরাই দেশ শাসন করবে এবং মুসলিমরা বঞ্চিত হয়ে থাকবে। সেই কারণেই পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে উসকানি দিয়েছিল ইংরেজরা। ভারত থেকে ইসলাম মুছে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখানো হয়েছিল। বাস্তবে কী তেমন কিছু ঘটেছিল? ঘটেনি। মুসলিমরা ভারতে সমান গুরুত্ব পেয়ে থাকেন।”
মুম্বই শহরে একটি অনুষ্ঠানে সঙ্ঘ প্রধান
মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দুদের মনে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছিল ব্রিটিশরা। বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পর্কে বিদ্বেষ ছড়ানো হয় হিন্দুদের মনে। এমনই দাবি করেছেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভগবত। তাঁর কথায়, “ব্রিটিশরা হিন্দুদের বলেছিল যে মুসলিমরা মৌলবাদে বিশ্বাসী।” সঙ্ঘ প্রধান আরও জানিয়েছেন যে এই উপায়েই হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। বিশ্বাস ভঙ্গ হয় দীর্ঘদিন একই সঙ্গে বসবাস করা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। পরস্পর পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে। এই সমস্যার সমাধানে মোহন ভগবতের বার্তা, “আমাদের এই দ্শ্টিভঙ্গির বদল করতে হবে।”