আলওয়ার: স্মার্টফোন গেমিংয়ের নেশায় শিশু-কিশোররা কী না কী করে ফেলে। সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে কত ঘটনাই এসেছে, কখনও গেমের প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে টাকাপয়সা চুরি, রেষারেষিকে বন্ধুকে মারধর, খুন এমনকী বাবা-মাকে খুনের খবরও শোনা গিয়েছে। এবার শোনা গেল রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ারের ১৫ বছরের কিশোরের ঘটনা, যে চুরিচামারি, খুনজখম জাতীয় কিছু করেনি, কিন্তু মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কিশোরটি গত ছ’ মাস ধরে প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা করে পাবজি (PUBG), ফ্রি ফায়ার (Free Fire) খেলছে। এই বদভ্যাস প্রভাব ফেলেছে তাঁর মস্তিষ্কে। রাতবিরেতে ঘুমের মধ্যে খেলার বিভিন্ন শব্দ চিৎকার করে উঠছে সে। খাওয়া দাওয়া মাথায় উঠেছিল তার। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে তাঁকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। চলছে চিকিৎসা এবং কাউন্সেলিং (Counselling)।
আরও পড়ুন: Monsoon Rain | নাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তর ভারত, যমুনা উপচে দিল্লি জলমগ্ন
ছেলের মোবাইল গেমের নেশায় (Mobile Game Addiction) অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তার বাবা-মা। কু-অভ্যাস ছাড়াতে শেষ দু’ মাসে বহু চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। সুযোগ পেলেই ফোন হাতে বসে পড়ত সে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের দল ছেলেটির চিকিৎসা করছে। কিছুটা উন্নতি হয়েছে তার। কিশোরের বাবা রিকশা চালান এবং মা বাড়ি বাড়ি কাজ করেন।
ব্যাটল রয়্যাল (Battle Royal) গেমের নেশায় এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছিল সে যে খেতেই চাইত না। ঘুমের মধ্যে ‘গুলি কর, গুলি কর’ চিৎকার করে উঠত সে, দুই হাত কাঁপতে থাকত ভীষণভাবে। ঠিক যেমন এই গেমগুলো খেলার সময় হয়ে থাকে। পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে তার বাবা-মা জয়পুর হাসপাতালের শরণাপন্ন হন। এই মুহূর্তে আলওয়ারের এক হস্টেলে রাখা হয়েছে ছেলেটিকে। চিকিৎসকরা খেয়াল রাখছেন এবং প্রতিদিন কতটা উন্নতি হচ্ছে সেদিকে নজর রাখছেন। ডিজেবিলিটি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ট্রেনার ভবানী শর্মা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মোবাইল গেম খেলার জন্যই মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিয়েছে ওই কিশোরের।