আইজল: অসম-মিজোরাম সংঘর্ষ ঘিরে কয়েকদিন যাবত সরগরম উত্তর-পূর্বের রাজনীতি। সীমানা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে দু’পক্ষই একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। এরই মধ্যে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করল মিজোরাম পুলিশ। । এ ছাড়া দুই আমলা, অসম পুলিশের চার শীর্ষ আধিকারিক ও ২০০ জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। কিন্তু মামলাটি কী কারণে কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে হস্তান্তর করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: অসম-মিজোরাম সংঘর্ষের জন্য কংগ্রেসকে দুষছেন হিমন্ত
সোমবার দুই পড়শি রাজ্যের সংঘর্ষে প্রাণ যায় এক পুলিশ সুপার-সহ ৫ পুলিশকর্মীর। জখম হন আরও ৫০ জন। অসমের কাছার জেলার লায়লাপুরের কাছে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে জুন মাসেও সীমানা নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছিল দুই রাজ্য। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা সীমানায় সংঘর্ষের ঘটনায় অসমকেই দায়ী করেছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি পাল্টা মিজোরামের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন।
সোমবার সকালে রাজ্যের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ছাউনি তৈরি করছিল অসম পুলিশ। এই ঘটনা থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি। কী কারণে ছাউনি বানানো হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে জড়ো হয়ে যান হাজার-হাজার মানুষ। সমস্যা মেটাতে অসম এবং মিজোরাম পুলিশ আলোচনা শুরু করে। অভিযোগ, আলোচনার চলাকালীন মিজোরামের বাসিন্দাদের একাংশ পাথর ছুড়তে শুরু করেন। পাল্টা পাথর ছোড়েন অসমের একদল ব্যক্তিও। রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।
আরও পড়ুন: অসমে ৩ দিনের শোক, থমথমে সীমানা, অভিষেকের নিশানায় মোদি সরকার
প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা এলাকায় পৌঁছালেও পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। টিয়ার গ্যাসর শেল এবং এয়ারগানের গুলিও ছোড়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষেরই একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। অসম সরকারের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় মিজো-বাহিনী হামলা চালায় অসম পুলিশের কর্মীদের ওপর। মিজোরামের তরফে বিবৃতি জারি করে অসম পুলিশের বিরুদ্ধে দায় চাপানো হয়েছে।