নয়াদিল্লি: বর্ষশেষে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron Booster shot) মাথাচাড়া দিয়েছে৷ নতুন বছরের শুরুতেই আবার উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে৷ তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই পাঁচ রাজ্যে দ্রুত টিকাকরণের কাজ করার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ করোনা পরীক্ষাতেও জোর দিতে বলা হয়েছে৷ মূলত, রাজ্যে রাজ্যে ‘বুস্টার শট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কোভিডের দুটো ভ্যাকসিনের ডোজ ইতিমধ্যে যাঁদের নেওয়া রয়েছে, তাঁরাই এই বুস্টার শট পাবেন। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথমসারির কোভিড-যোদ্ধা ও ষাটোর্ধ্বদেরই আগে বুস্টার শট (Omicron Booster shot) দেবে কেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে যাতে ‘মিক্সিং ও ম্যাচিং’ না হয়, সে দিকে নজর রাখার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুসারে, কারও যদি আগের দু’টি ডোজ কোভ্যাক্সিন নেওয়া থাকে, তাকে কোভ্যাক্সিনেরই বুস্টার শট নিতে হবে। কোভিশিল্ড নেওয়া থাকলে, বুস্টার শটাও কোভিশিল্ডই নিতে হবে। বুস্টার শটের ক্ষেত্রে কখনোই অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না।
ভ্যাকসিনের ‘মিক্সিং ও ম্যাচিং’ নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক গবেষণা হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকেই এ নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। তার কয়েক’টিতে দাবি করা হয়, মিলিজুলি ভ্যাকসিনে নাকি আশানুরূপ ফল মিলেছে। কয়েক’টি দেশে এ ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়াও হয়েছে।
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করল কৃষক সভা
কিন্তু, ভ্যাকসিনের এই ‘মিক্সিং ও ম্যাচিং’ নিয়ে মতবিরোধও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বিরত থাকতে বলে। ভারতেও ভ্যাকসিন নিয়ে এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। বুস্টার শটের ক্ষেত্রেও যে কারণে সতর্ক করল কেন্দ্র।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অন্তত ৯-১২ মাস পর বুস্টার শট নিতে হবে। কী ভাবে এই বুস্টার শট দেওয়া হবে, তার রূপরেখা নিয়ে খুব শিগগির পদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করারও কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, ১০ জানুয়ারি থেকেই সর্বত্র বুস্টার শট চালু হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মত, একমাত্র বুস্টার শটেই ওমিক্রনকে প্রতিহত করা সম্ভব। আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে যে কারণে বুস্টার শট চালু হয়েছে। একই কারণে নরেন্দ্র মোদী সরকারও তৎপর।
আরও পড়ুন:ধর্মসভায় মহাত্মা গান্ধী নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য, গডম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এত সক্রিয় হওয়া সত্ত্বেও ভারতে ওমিক্রনের রেকর্ড দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রনে আক্রান্ত ১৫৬ জন। দেশে মোট আক্রান্ত ৫৭৮ জন। যদিও এর মধ্যে ১৫১ ওমিক্রন আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শুধু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নয়, সামগ্রিক করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সোমবার প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।