ওয়েব ডেস্ক: গাড়ির ভিতর থেকে একই পরিবারের সাতজনের (7 Members) দেহ উদ্ধার হল হরিয়ানার পঞ্চকুলায় (Panchkula)। এমনকী উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও (Suicide Note)। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গাড়ির ভিতরে আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। দেহগুলি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া এবার হরিয়ানায়। সোমবার মধ্যরাতে হরিয়ানার পঞ্চকুলায় (Panchkula) একটি বাড়ির সামনে বেশ কিছুক্ষন ধরেই গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির ভিতর থেকে অচেতন অবস্থায় সাতজনকে উদ্ধার করে। তাঁদের তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে (local Hospital) নিয়ে গেলে প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: আজ দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির বৈঠক
সূত্রের খবর, ওই পরিবারের সদস্যরা উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা। তাঁরা সকলেই সোমবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হরিয়ানার বাগেশ্বর ধামে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে ছিলেন প্রবীণ মিত্তল তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা এবং স্ত্রী, এছাড়াও ছিল দুই কন্যা ও এক পুত্র।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মিত্তাল পরিবার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর ব্যবসা শুরু করেছিল। সেই ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি হয় তাঁদের। পাশাপাশি, মৃত প্রবীণের বাজারে প্রচুর পরিমানে ধার দেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই গোটা পরিবারকে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত তিনি নিলেন কিনা তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। পুলিশের অনুমান এই ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। ঘটনার পেছনে রয়েছে অনেক রহস্য। গোটা বিষয়টি তদন্ত করছে হরিয়ানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি খাস কলকাতার ট্যাংরায় ঋণগ্রস্ত দে পরিবারের সকলের আত্মঘাতী হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। তিন মহিলা সদস্যের মৃত্যুও হয়। গাড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেও প্রাণে বেঁচে যান দে পরিবারের বাকি তিন সদস্য। যদিও, ঘটনার তদন্তে নেমে নতুন তথ্য উঠে আসার পাশাপাশি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারেরই সদস্য প্রণয় দে গ্রেফতার হয়েছেন।
হরিয়ানার ঘটনায় পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। সুইসাইড নোটটি পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে এবং দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হবে গোটা ঘটনা।
দেখুন অন্য খবর